ঢাকার দোহার উপজেলার পদ্মা নদীর তীরবর্তী অপরূপ সৌন্দর্যের লীলা ভূমি মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনট ঘাট। সাপ্তাহিক ছুটিসহ ঈদের ছুটিতে যানজট ও কোলাহল মুক্ত স্থান হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্রমণ পিয়াসী দর্শনার্থীরা এখানে ছুঁটে আসেন। যার ফলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই লীলা ভূমি মিনি কক্সবাজার এখন দর্শনার্থীদের পদচারণায় উৎসব মুখর পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিণত হয়েছে। এখানে সাপ্তাহিক ছুটির দিন গুলোতে নিয়মিত পর্যটকদের ভীড় থাকলেও ঈদ এবং বিভিন্ন বিশেষ দিন উপলক্ষে থাকে ভিন্ন আমেজ।
ঈদের বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে মিনি কক্সবাজারকেই বেছে নেন ব্যাপক দর্শনার্থীরা। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে ঘুরতে আসেন পর্যটকরা। কেউবা পরিবার পরিজন, আবার কেউ প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে বিনোদনের জন্য এখানে ঘুরতে আসেন। যা পুরো মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনট ঘাট এলাকাটিকে সৌন্দর্যময় ও সৌন্দর্যবর্ধণ করে তুলে। এখানে এসে পর্যটকরা স্প্রিডবোট, নৌকা ভ্রমন, ঘোড়ার গাড়িতে ভ্রমন, কেউবা আবার পদ্মার পানিতে হাটু পায়ে হেটে অনেক দূর চলে যাওয়া কিংবা গোসল করে তৃপ্তি মেটান। আবার কেউ পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধুব কিংবা প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে ছবি তুলেও আনন্দ উপভোগ করেন। এছাড়াও বাচ্চাদের খেলা ও আনন্দের জন্য রয়েছে বিভিন্ন উপকরণ।
এই মৈনটঘাটে পর্যটকরা আসলে মুগ্ধ হবেন এটাই বাস্তাবতা। কারণ এখানে রয়েছে পদ্মা নদীর অপরূপ জলরাশি যা আপনাকে চোখ ফেরাতেই দেবে না। এই বিশাল জলরাশি, পদ্মায় হেলে দুলে ভেসে বেড়ানো জেলেদের নৌকা দেখা আর পদ্মার তীরে হেঁটে বেড়ানো, সব মিলিয়ে কিছুক্ষণের জন্য আপনার মনে হবে আপনি এখন ঢাকার দোহারে মৈনটঘাটে নয়, বরং কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতেই আছেন। মূলত এ কারণেই অনেকে মৈনট ঘাটকে বলে থাকেন ছোট কক্সবাজার বা মিনি কক্সবাজার।
পর্যটকদের ভিড়ে এই এলাকার মানুষ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে ফিরে পেয়েছেন জীবিকা নির্বাহের সুন্দরতম গতিপথ। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বাংলা খাবারের রেস্টুরেন্ট, চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, চটপটি ও ফোচকা হাউজসহ নানা ধরনের খাবারের দোকানসহ বিভিন্ন সৌন্দর্যবর্ধন উপকরনের দোকান। যা ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা বিনোদনের পাশাপাশি খাবার খাওয়া ও অন্যান্য জিনিস ক্রয় করতেও ব্যস্ত থাকেন।
মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনট ঘাট ঢাকার কাছে হওয়ায় এবং দিনে এসে দিনেই ফিরে যাওয়া যায় বিধায় মৈনট ঘাট ভ্রমণ পাগল মানুষের কাছে আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
এপার দোহারের মৈনট ঘাট আর পদ্মা নদীর ওপার ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের গোপালপুর ঘাট। প্রতিদিনই এই মৈনট ঘাট দিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলার শত শত মানুষ জীবিকার তাগিদে কিংবা ভ্রমণের জন্য যাতায়াত করছেন। তবে এখানে বেশির ভাগ পর্যটক আসেন দোহার, নবাবগঞ্জ, শ্রীনগর, কেরানীগঞ্জসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ও ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে। এছাড়াও অন্যান্য জেলা, উপজেলা থেকেও এখানে আসেন ঘুরতে ও সৌন্দর্য উপভোগ করতে। মৈনট ঘাট এখনো ব্যাপকভাবে পরিচিত না হওয়ার কারণে ভ্রমণ পিপাসু অনেক মানুষই বঞ্চিত হচ্ছেন মৈনট ঘাটের সৌন্দর্য উপভোগ করা থেকে।
এখানে খুব ভোরে মৈনট ঘাটেই আপনি দেখতে পাবেন সারা রাত জেগে পদ্মা নদীতে কঠিন সংগ্রাম করে জেলেদের শিকার করা মাছের বাজার। পদ্মা নদীর সেই নামকরা ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির তরতাজা মাছই আপনি কিনতে পারবেন একদম টাটকা ও সুলভ মূল্যে এই মৈনট ঘাট থেকে।
মৈনট ঘাট দর্শনের উপযুক্ত সময় হচ্ছে বর্তমানের এই বর্ষাকাল। এ সময় রাস্তার দুই পাশের নিম্ন ভূমি। যেখানে বর্ষার আগে বিস্তীর্ণ ভূমিজুড়ে করা হয় বাদাম চাষ। যা কিনা দেখার মতো এক অপরূপ দৃশ্য। বর্ষার আগে এর সৌন্দর্যের কোথাও যেনো কোন কমতি নেই। এ সময় দেখা যাবে পদ্মা নদীর শান্ত রূপ। একটা সন্ধ্যায় এ মৈনট ঘাটের পদ্মা নদীর পাড়ে দাড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখলে মুগ্ধ হবেন আপনি। বাংলাদেশের প্রধান প্রধান উৎসবের দিনগুলোতে মানুষ এখানে স্প্রিডবোট, ট্রলার, অথবা খেয়া নৌকা নিয়ে পদ্মার বুকে ভেসে আনন্দ উপভোগ করেন অনেকেই। অনেকের মতেই এখানে এলে সমুদ্র সৈকতের ছোঁয়া মেলে। এক কথায় প্রকৃতির এক অন্যরকম অপরুপতার স্পর্শ আছে এখানে।
বিকেল হলেই মৈনট ঘাট কোলাহলময় হয়ে ওঠে। মানুষে মানুষে ছেয়ে যায়। পদ্মার উত্তাল ঢেউ, দিগন্ত ছুঁয়ে থাকা রাশি রাশি জল, দূরে ছুটে চলা ইঞ্জিন চালিত স্প্রিডবোট এর ঝাপাঝাপি। এসব নান্দনিক অপরূপ দৃশ্য মনে অনেকটাই প্রশান্তি এনে দেয়। তাই ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য ঢাকার দোহারের মৈনট ঘাট এখন বাড়তি আনন্দই বটে। প্রতিদিনই অজানা-অচেনা অনেক লোক এখানে বেড়াতে আসে। অনেকেই পানিতে নেমে আনন্দে মত্ত হন। দীর্ঘ চর-ভূমিতে অনেকেই হাঁটাহাঁটি করে, ছবি তুলে নাগরিক জীবনের একগেয়েমির মাঝে বৈচিত্রময় জীবনের সন্ধান করেন।
মিনি কক্সবাজার খ্যাত এই মৈনট ঘাটটি এক সময় কিছুই ছিলো না। এক সময় এখানে শুধু মানুষ পারাপারেরই ঘাট ছিল। ঢাকা আর ফরিদুপরের মানুষের যোগাযোগের পুরনো সেতুবন্ধন হিসেবে ছিলো এই মৈনট ঘাট। এই ঘাট দিয়েই পদ্মার জলরাশি পাড়ি দিয়ে ঢাকা আর ফরিদপুরের মানুষ এপার ওপার হতো। মৈনট ঘাটের পদ্মা নদীর ওপারে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা। মৈনট ঘাটে দাড়িয়ে দূরে চোখ মেললেই জলরাশি পেড়িয়ে চরভদ্রাসনের চিহ্ন দেখা যায়।
তবে কালের বিবর্তনে পদ্মার ভাঙাগড়ার খেলায় সেই পুরনো মৈনট ঘাটের কোল ঘেষে জেগে উঠেছে বিরাট এক চর। এই চরকে এখন সমুদ্রের বেলাভূমির মত লাগে। এখানেই যত সৌন্দর্য, এখানেই যত আনন্দ। চরটা বেশ লম্বা। আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগে এখানে ভ্রমণ পিয়াসীরা আসতে শুরু করে। এরাই প্রথমে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশাল মিডিয়াতে এই ঘাটে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ প্রকাশ করতে থাকে। এভাবেই মৈনট ঘাট মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত হয়ে উঠে।
বর্তমান সময়ে রাজধানীর ভ্রমণ পিপাসু তরুণ-তরুণীরা এখানে এসে মিনি কক্সবাজারের স্পর্শ নিতে ভুল করেন না। পাশাপাশি নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের মত চেয়ারও ভাড়া পাওয়া যায় এখানে। পা এলিয়ে দিয়ে আপন মনে পদ্মার জলরাশির ঢেউ উপভোগ করেন ভ্রমণ পিপাসুরা। অনেকেই জানিয়েছেন কেবলই পদ্মা নদীর ঘা হিম করা একটু বাতাসের দোলা খেতে ও পদ্মার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে ছুটে আসেন।
মৈনট ঘাটের একজন স্প্রিডবোট চালক মোঃ রেজুয়ান জানান, ২০ মিনিটের জন্য স্প্রিডবোট রিজার্ভ করে পদ্মায় ভেসে বেড়াতে চাইলে গুনতে হবে দুই হাজার টাকা। কয়েকজন মিলে শেয়ারে ভাড়া করলে ভালো হবে। আর ১০ মিনিটের জন্য এক হাজার টাকা। ট্রলার রিজার্ভ করে পদ্মায় ঘুরতে চাইলে এক ঘণ্টার জন্য ১ হাজার টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা।
ঢাকা থেকে যেভাবে আসবেন মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনট ঘাটে
ঢাকা থেকে মৈনট ঘাটে আসার সবচেয়ে সুবিধাজনক উপায় হচ্ছে গুলিস্থানের গোলাপ শাহর মাজারের সামনে থেকে সরাসরি মৈনট ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা বাস “যমুনা পরিবহন” কিংবা “দ্রæত পরিবহন” নামক বাস। ১০০ থেকে ১১০ টাকা ভাড়া আর দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময়ের মধ্যে আপনি পৌঁছে যাবেন মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনট ঘাট।
এ ছাড়াও ঢাকার বাবুবাজার ব্রীজ পার হয়ে কদমতলী থেকে সিএনজিতেও আসতে পারেন। লোকাল সিএনজি কদমতলী থেকে জনপ্রতি ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা ভাড়া নিয়ে কার্তিকপুর বাজার পর্যন্ত আসবেন। এর পর কার্তিকপুর থেকে একটি অটো গাড়িতে করে মাত্র ১০ টাকা জনপ্রতি ভাড়া দিয়ে যেতে পারেন মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনট ঘাট।
অপর দিকে গুলিস্থানের একই স্থান থেকে ছেড়ে আসা বাস “জয়পাড়া পরিবহন” ও “নগর পরিবহন” নামক ২টি বাসও ছেড়ে আসে দোহারের রাজধানী জয়পাড়ার উদ্দ্যেশে। এরপর জয়পাড়া থেকে একটি অটো গাড়ি করে জনপ্রতি ৩০ টাকা ভাড়া দিয়েও যেতে পারেন মৈনট ঘাট। যাঁরা প্রাইভেট কার অথবা মোটরসাইকেল নিয়ে আসতে চাচ্ছেন তাঁরাও এই বাসের রাস্তাটিকে ব্যবহার করতে পারেন এবং আসতে অনেক সুবিধা হবে।
এ ছাড়াও ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকেও আসার একটা পদ্ধতি রয়েছে। মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধের সিএনজি স্টেশন থেকে লোকাল সিএনজিতে সরাসরি মৈনট ঘাট আসতে পারবেন। ভাড়া ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা লাগবে জনপ্রতি। অথবা সরাসরি সিএনজি না পেলে হেমায়েতপুর থেকে হযরতপুর, হযরতপুর থেকে পারাগ্রাম, নৌকায় নদী পার হয়ে আরেক সিএনজিতে নবাবগঞ্জ সদর এবং সেখান থেকে ঢাকা থেকে আগত কোন বাস বা অটো গাড়িতে করে যেতে পারেন মৈনট ঘাট।
নৌ পথে যেভাবে আসবেন ঃ
স্প্রিডবোটে মৈনট ঘাট থেকে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন অথবা চরভদ্রাসন থেকে মৈনট ঘাটে আসতে হলে জনপ্রতি গুনতে হবে ১৭০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। ১০ থেকে ১২ জন নিয়ে চলতে পারে এই স্প্রিডবোট। স্প্রিডবোটে মৈনট ঘাট থেকে চরভদ্রাসন যেতে সাধারণত সময় লাগে ১৬ থেকে ১৭ মিনিট। আর পদ্মায় ঢেউ থাকলে ২০ মিনিট। এছাড়াও লঞ্চে বা ট্রলারে আসলে ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা ভাড়ায় আপনি আসতে পারবেন মৈনট ঘাট।
থাকার ব্যবস্থা ঃ
পর্যটকদের থাকার জন্য মৈনট ঘাটের আশ-পাশে কোনো হোটেল, রিসোর্ট বা বোর্ডিং এখনো তৈরি করা হয়নি। যদি স্থানীয় কোনো বাসিন্দার বাড়ি ম্যানেজ করতে না পারেন তবে দিনে এসে দিনেই ফিরে যাওয়া ভালো।
খাবার ব্যবস্থা ঃ
বেশির ভাগ মানুষেরই ইচ্ছা থাকে পদ্মার তীরে বসে পদ্মার সেই নামকরা ইলিশ খাওয়ার। মৈনট ঘাটে বেশ কয়েকটি বাংলা খাবারের রেস্টুরেন্ট, চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, চটপটি ও ফোচকা হাউজসহ নানা ধরনের খাবারের দোকান রয়েছে। আপনার পছন্দ অনুযায়ী খাবার আপনি খেতে পারেন।
এছাড়াও মৈনট ঘাটের আগে কার্তিকপুর বাজারে বেশ কয়েকটি খাবারের দোকান আছে। সেখানেও আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী আপনি খেতে পারেন। তবে কার্তিকপুর বাজারের বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকান রয়েছে। এখানকার মিষ্টি অনেক সুস্বাধু এবং অনেকে এই জায়গার মিষ্টি বিদেশেও পাঠায়। এদের মধ্যে মুসলিম সুইটস, নিরঞ্জন মিষ্টান্ন ভান্ডার, রণজিৎ মিষ্টান্ন ভান্ডারসহ আরও কিছু মিষ্টির দোকান রয়েছে এখানে।
সাবধানতা ঃ
সাঁতার না জানলে গোসল করার সময় পদ্মার বেশি গভীরে যাবেন না। কারণ এই পদ্মা নদী ইতোমধ্যেই অনেকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। তাই বিশেষ ভাবে নদীতে গোসল বা পানিতে নেমে কিংবা নৌকা বা স্প্রিড বোটে সাবধানতা অবলম্বন করুন। সিগারেট অথবা খাবারের প্যাকেট, পানির বোতল অথবা যেকোনো প্রকার ময়লা যেখানে সেখানে ফেলবেন না। পাখি মারা থেকে বিরত থাকুন। যার-তার সামনে ধূমপান থেকে বিরত থাকুন। দোকানি, নৌকাচালকসহ সবার সঙ্গে মার্জিত ব্যবহার করুন। ভুলেও এদের ছোট করে দেখবেন না। এদের অনেকের বাড়িঘরের অবস্থা আপনার চেয়েও অনেক ভালো। খেয়াল রাখুন নিজের কোনো আচরণের দ্বারা কোনো মেয়ে বিরক্ত হলো কি-না। কেউ মেয়েদের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করলে অথবা যেকোনো প্রকার সাহায্যের জন্য মৈনট ঘাটের একটু পাশেই অবস্থিত পুলিশ ফাঁড়িতে যোগাযোগ করুন।
তাহলে আর দেরি না করে ঘুরে আসতে পারেন মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনট ঘাট। যেখানে অপার সৌন্দর্য বুকে ধারণ করে পরম মমতায় পদ্মা নদী আপনাকে ডাকছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি মৈনট ঘাট আপনাদের জন্যই অপেক্ষা করছে।