কুতুবদিয়ায় কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতাও আসছেন গরু কিনতে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে গরু, ছাগল মহিষ দর - কষাকষি চলছে। দামে মিললে ক্রেতারা কিনছেন, না মিললে চলে যাচ্ছেন। আর মাত্র দুইদিন ঈদের বাকি থাকলেও পশু বিক্রি তেমন চোখে পড়েনি। আবার অনেক ক্রেতারা গরু না কিনলেও বাজারে ঘুরে দরদাম করছেন। উপজেলার বড়ঘোপ ও ধূরুং দুই বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। জানা যায়, ইতোমধ্যে কুতুবদিয়া উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের ২টি অনুমোদনপ্রাপ্ত কোরবানি পশুর হাটে বেচা-কেনা শেষ মূহুর্তে জমে উঠেছে।
উত্তর লেমশীখালীর ক্রেতা কাইসার আলম বলেন, বাজারে অনেক ঘুরাঘুরি করে ৭ মণের একটি গরু কিনলাম ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে। বেশি দর হলেও কুরবানির উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে।
কৈয়ারবিলের বিক্রেতা রহিম উল্লাহ বলেন, ৮ মণের গরুর দর ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দাম হাঁকা হয়েছে। এই দাম দিয়ে কেউ কিনতে আগ্রহ না দেখাতে গরু বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি।
দুই বাজারের ইজারাদারের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবার পশুর দাম মোটামুটি ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুই বাজারে গরু, ছাগল ও মহিষ মিলিয়ে শতাধিক কুরবানির পশু বিক্রি হয়েছে। আজ ও কাল আরও দুই দিন বাজারে বেচাকেনা চলবে এবং সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জোরদার করা হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোরশেদ আলম বাহাদুর দৈনিক রূপসীগ্রামকে জানান, কুতুবদিয়ায় কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর কোন সংকট নেই বরং চাহিদার অতিরিক্ত রয়েছে। এ দ্বীপের বড়ঘোপ বাজার ও ধূরুং বাজারের পশুর হাট গুলোতে ২টি ভেটেনারি মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে বলে জানান তিনি।