কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় সমুদ্র সৈকত থেকে ঝাউগাছ কেটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় বন বিভাগের কর্মকর্তাদের জানা নেই বললেও স্থানীয়রা জানিয়েছে, ঝাউগাছ কাটার সঙ্গে বন বিভাগের কর্মকর্তারাও জড়িত। ঘরবাড়ি তৈরির খুঁটি, সমুদ্র সৈকতের বালু উত্তোলন এবং জ্বালানি কাজের লাকড়ি হিসেবে এ ঝাউবাগান ধ্বংস করা হয়। উপজেলার পশ্চিম পাশে সমুদ্র সৈকতে বেড়ীবাঁধ রক্ষার্থে লাগানো ঝাউগাছ কর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নির্মিত বেড়ীবাঁধ।
স্থানীয় ফখরুল ইসলাম, মানিক, গিয়াস উদ্দিনসহ অনেকেই বলেন, বন কর্মকর্তার সাথে যোগসাজশে সমুদ্র সৈকত থেকে রাতের অন্ধকারে চুরি হচ্ছে হাজারো ঝাউগাছ। এ ঝাউবাগান রক্ষার্থে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমগীর খান মাতবর বলেন, রাতে আঁধারে আবুল বশর নামের বালু খেকো ঝাউবাগানের পাশ থেকে বালু উত্তোলনের কারণে জোয়ারের পানিতে গাছগুলো পড়ে যায়। আবার কিছু কিছু গাছ স্থানীয়রা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেড়ীবাঁধ। এতকিছুর পরও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে উপজেলা রেঞ্জার কর্মকর্তার (01999007336) ফোন নম্বর বন্ধ থাকায় তার সহকারী আব্দু সত্তর বলেন, ঝাউগাছ উপড়ে ফেলা বা কেটে ফেলার বিষয়টি এখনও পযর্ন্ত তিনি জানে না। তবে, ঝাউগাছ কর্তনের বিষয়ে কেউ জড়িত থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।