কুতুবদিয়ায় পেশাগত সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক ইউপি মেম্বারের নেতৃত্বে হামলার শিকার হয়েছেন দু‘ সংবাদকর্মী। গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের শান্তি বাজারে হামলার শিকার হন তারা।
ভুক্তভোগী দু‘ সংবাদকর্মী দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার কুতুবদিয়া প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম কাইছার এবং দৈনিক যায়যায়দিন ও দৈনিক বাঁকখালী পত্রিকার কুতুবদিয়া প্রতিনিধি শাহেদুল ইসলাম মনির জানান, বৃহস্পতিবার ১০টার দিকে লবণ মাঠের জমির বিরোধ নিয়ে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোশাররফ হোছাইন ও প্রতিপক্ষ লবণচাষিদের সংঘর্ষের আশংকার সংবাদ পেয়ে সেখানে যান। এসময় ১৫-২০ জনের একটি গ্রæপের ছবি তুলতে গেলে সংবাদকর্মী কাইছারের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে টানা হেঁচড়া করে তাকে নাজেহাল করা হয়। খবর পেয়ে সংবাদকর্মী শাহেদুল ইসলাম মনির ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশকে সহায়তার জন্য ফোন করতে গেলে ইউপি মেম্বার মোশারফের দলবল তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মারধর শরু করে।
পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আঘাতের ফলে শাহেদুল ইসলামকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।
ইউপি মেম্বার মোশারফ হোছাইন বলেন, লবণ মাঠের বিষয় নিয়ে দু‘ সংবাদকর্মীকে মারধর করেননি। তবে চাষিদের সাথে কি হয়েছে তিনি অবগত নন।
থানার এসআই রায়হান উদ্দিন বলেন, দু‘সাংবাদিককে হামলার বিষয়ে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। লবণ মাঠের চাষিদের ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান।
এঘটনায় ভুক্তভোগী সংবাদকর্মী শাহেদুল ইসলাম মনির বাদী হয়ে কুতুবদিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।
কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওমর হায়দার জানান, ‘এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ দিকে কুতুবদিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাছান কুতুবী সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে দু‘সংবাদকর্মীর ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি দ্রুত হামলাকারিদের আইনের আওতায় এনে দোষীদের শাস্তি দাবিকরেন তিনি।