কথিত আছে রক্ত কথা বলে। পুর্বপুরুষ যেমন ছিলো বর্তমান প্রজন্ম তো তেমনই হবে। জেলায় আগে বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনী নির্বিচারে মানুষ খুন করতো। সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় জেলায় সন্ত্রাসী বাহিনীর তৎপরতা না থাকলেও মানুষ হত্যা আগের মতোই রয়েগেছে। এখন তুচ্ছ ঘটনা, জুয়া, পরকীয়া, জমিজমা, প্রেমঘটিত ইত্যাদি বিষয় কে কেন্দ্র করে ঘটছে হত্যারমত জঘন্য অপরাধ।
কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে তানজিল শেখ (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়। শনিবার ২০ মে) সন্ধার আগে পান্টি স্কুল মাঠে ঘটে এই ঘটনা।
নিহত কলেজছাত্র তানজিল শেখ পান্টি ইউনিয়নের ওয়াশী গ্রামের মনিরুল শেখের সনবতান।সে পান্টি কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। হত্যাকারী বন্ধু ওবাইদুল শেখ ইমন (১৯) সেও একই কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জানান, আসরের আগে পান্টি স্কুল মাঠে তানজিল ও পান্টি গ্রামের মিলনের ছেলে ইমনের মধ্যে স্বাভাবিক কথাবার্তার এক পর্যায়ে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এ সময় ইমন তার পকেটে থাকা ধারালো অস্ত্র বের করে তানজিলের বুকে আঘাত করে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তানজিলকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে ইমন ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসীন হোসাইন বলেন, হত্যার মূল কারণ কেউ স্পষ্ট করতে বলতে পারছেন না। তবে আসামি আটকের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামি আটকের জন্য জোর চেষ্টা চলছে।