: মৃত্যুর সাথে ৩৩ দিন লড়াই করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন সন্ত্রাসী হামলায় আহত বিএনপি কর্মী শেখ সাজ্জাদুল ইসলাম জিকো (৩৫)। আহত হবার পর চিকিৎসা শেষে বাড়িতে চিকিৎসাধীণ ছিলেন জিকো।
আজ শুক্রবার ভোরে মারা যান তিনি।
গত ২২ অক্টোবর বিএনপির খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিতে ট্রলারযোগে যাওয়ার সময় ভৈরব নদে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হন জিকো। তিনি ফুলতলা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও মৃতঃ শেখ শওকত হোসেনের পুত্র।
সূত্র জানায়, ঐ ঘটনায় জিকোসহ বিএনপির ২৫/২৬ জন নেতাকর্মী গুরুতর জখম হন। এর মধ্যে জিকোর মাথা ফেঁটে গেলে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ওই সময় তাকে ১১টি সেলাই দেয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি চিকিৎসা শেষে পায়গ্রাম কসবা নিজ বাড়িতে ফেরেন। এ ঘটনার এক মাসের অধিক সময়ের পর শুক্রবার ভোরে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু ঘটে।
তবে এই বিষয়ে কোন কিছু জানেন না বলে জানান ফুলতলা থানার ওসি মোঃ ইলিয়াস তালুকদার। তিনি বলেন, ওই সময়ে আমার থানা এলাকায় কোন ঘটনা ঘটেনি। আর ইলিয়াসের বিষয়টা শুনেছি অন্য থানা এলাকায়। তারা আমার এখানে কোন অভিযোগ বা মামলা দেয়নি। ফলে এটা আমার জানার বাইরে।
জিকো ফুলতলা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও মৃতঃ শেখ শওকত হোসেনের পুত্র। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ শিশুকন্যাসহ বহু আত্মীয় স্বজন রেখে যান। বাদ আছর পায়গ্রাম কসবা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে জানাযা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, অধ্যাপক ডাঃ গাজী আঃ হক, এস এ রহমান বাবুল, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আবু হোসেন বাবু ও আশরাফুল আলম নান্নু, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবুল বাশার, বিএনপি নেতা শেখ লুৎফর রহমান, আনোয়ার হোসেন বাবু, বাবর আলী, মোল্যা মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
##