ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে আলীকদমে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

সুশান্ত কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাঁ, আলীকদম (বান্দরবান)প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : রবিবার ২১ অগাস্ট ২০২২ ০৬:১৮:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন
বিগত ২০০৪ সালের এই দিনে (২১ আগস্ট) ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামীলীগ সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা কে হত্যার উদ্দেশ্যে ভয়ংকর গ্রেনেড হামলা ও গুলিবর্ষণ করে ঘাতকেরা। তারই প্রতিবাদে বাংলাদেশ মহিলা  আওয়ামীলীগ ও যুব মহিলা লীগ আলীকদম উপজেলা শাখার আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
 
আজ রবিবার (২১ আগষ্ট)বিকাল ৪ ঘটিকার সময় দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল উপজেলার প্রদান প্রদান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এসে প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে মিলিত হয়। বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগ ও যুব মহিলা লীগ নেত্রী অংক্রা মার্মার সভাপতিত্বে নয়াপাড়া ইউনিয়ন সেচ্চাসেবক লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন এর সঞ্চালনায় এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
 
বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগ ও যুব মহিলা লীগ আলীকদম উপজেলা শাখার সভাপতি অংক্রা মার্মার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আলীকদম উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সদর ইউপি'র সাবেক চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন। 
 
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য দুংড়ি মং মার্মা। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কামরুল হাসান টিপু,উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কফিল উদ্দীন,সাবেক সভাপতি ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দীন,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরদৌস রহমান,ফোগ্য মার্মা, উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগ সভাপতি সাতুল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক রিপন তালুকদার,মহিলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভানেত্রী এনুচা মার্মা, মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য আয়েশা বেগম,উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামসহ দলটির সকল স্থরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। 
 
সমাবেশে বক্তারা বলেন, জিয়াউর রহমানের নেত্বীতে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। তদ্রুপ আমাদের প্রান প্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কেও ২১আগস্ট সমাবেশে হত্যার উদ্দেশ্যে নীলনকশা তৈরি করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।২০০৪ সালে জামায়াত বিএনপি জোট সরকারের জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যে সৃষ্টির প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ীমীলীগ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে সু্যোগ্য কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃীত্বে যখন এসবের প্রতিবাদে রাজ পথে নেমেছিল সাধারণ মানুষ,তখন ২১ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামীলীগের এক জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালায়। ওই হামলায় অল্পের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কণ্যা শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও তখন ২৪ জন নেতাকর্মী প্রাণ হারায় এবং পঙ্গু হয়ে অনেকে এখনো বেঁচে আছেন।
 
বক্তারা আরও বলেন,বঙ্গবন্ধু কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃীত্বে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এসে পরপর তিনবার রাষ্ট্র পরিচালনা করে দেশকে সমৃদ্ধ করে জাতির ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।এ দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নকে ধ্বংস করতে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি আবারো মাথাচাড়া দিয়ে সরকারের অর্জন গুলোকে নষ্ট করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। ২১ আগস্টের মতো জঘন্য হত্যাকাণ্ড যদি বিএনপি নতুন করে আরও অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাই তাহলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ চুপ করে ঘরে বসে থাকবেনা। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রত্যেকটা নেতাকর্মী রাজপথে থেকে বিএনপির বিরুদ্ধে রুঁখে দাঁড়াবে। ২১আগস্টের মত এতো বড় অপরাধ পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয়টি খুজে পাওয়া বিরল। এ হত্যাকাণ্ডে তারেক রহমান সহ যারা নীল নকশা একেছিল তাদের খুঁজে বের করে এবং যারা বিদেশে আত্ম গোপন করে লুকিয়ে আছে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানান।