সর্বকালের সেরা গান ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানের গীতিকার ও সুরকার আবু জাফর আর নেই। তার এই গানটি বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি গানের মধ্যে স্থান পেয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। লোক গবেষক সাইমন জাকারিয়া এই গীতিকারের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন। বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন।
আবু জাফর রচিত অনন্য সংগীতের মধ্যে রয়েছে ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’, ‘নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিল গায়ে’, ‘আমি হেলেন কিংবা মমতাজকে দেখিনি’, ‘তুমি রাত আমি রাতজাগা পাখি’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। তার রচিত সব গানের বাণীতে অসামান্য সুর সংযোজনও করেন তিনি।
আবু জাফর ছিলেন- একাধারে একজন গীতিকার, সুরকার, কবি এবং সংগীতশিল্পী। পেশাগতজীবনে তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক। চুয়াডাঙ্গা কলেজ ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।
আবু জাফর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের গড়ের বাড়ি কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম খোন্দকার মো.জমির উদ্দিন। আবু জাফর রাজশাহী ও ঢাকা বেতার এবং টেলিভিশনের নিয়মিত সংগীতশিল্পী ও গীতিকার ছিলেন। তার রচিত দেশাত্মবোধক ও আধুনিক গান তুমুল আলোড়ন তুলেছিল। একাধিক কালজয়ী গানের স্রষ্টা তিনি। এর মধ্যে ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ উল্লেখযোগ্য গান।
বেশ কিছু বই লিখেছেন আবু তিনি। এর মধ্যে নতুন ‘রাত্রি পুরোনো দিন’ (কাব্য), ‘বাজারে দুর্নাম তবু তুমিই সর্বস্ব’ (কাব্য), ‘বিপ্লবোত্তর সোভিয়েত কবিতা’ (অনুবাদ কাব্য) উল্লেখযোগ্য।
শুধু তাই নয়, তিনি নিজের রচিত এবং সুর সংযোজিত বেশির ভাগ গানে নিজেই কণ্ঠ দিয়েছেন। ক্ষেত্রবিশেষে তার প্রাক্তন স্ত্রী ফরিদা পারভীন তার সঙ্গে যুগল গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।
বায়ান্ন/এসএ