মাঘ মাসের শুরুতে মৌলভীবাজারে আবারও জেঁকে বসেছে শীত। বইছে শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। দিন-রাতে সমান তালে বইছে কনকনে হিমেল হাওয়া। ঘর থেকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছেন না। যারা বের হচ্ছেন তারা গরম কাপড় পরিধান করে বের হচ্ছেন। পাশাপাশি ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে রয়েছে পুরো মৌলভীবাজারের আকাশ। গেল এক সপ্তাহ থেকে সূর্যের দেখা মিলেনি। টানা কয়েকদিনের শীতের কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
শীতে সবচেয়ে বেশি হাওর পাড়ের মানুষ, চা বাগানের শ্রমিক, ছিন্নমূল ও দিনমজুররা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেকেই খড়খুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ইং, সকাল ৬টার সময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও নামতে পারে।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক বিনেন্দ্র ভৌমিক জানান, শুধু শিশুদের জন্য সিট রয়েছে ৩৯টি। গত সপ্তাহে শীতজনিত রোগে হাসপাতালে ৭০-৭৫ জন শিশু ভর্তি ছিল। যা প্রায় দ্বিগুণ ভর্তি ছিল। বর্তমানে শিশু ভর্তি কমে আসছে।
এছাড়াও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলোতে শিশুরা চিকিৎসা নিচ্ছে। ফুটপাতে গরম কাপড়ের দোকানে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের ভিড় প্রতিদিন বাড়ছে।
তীব্র শীতে কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ দিনমজুর মানুষ। সড়কে মানুষের চলাচল কমে যাওয়ায় ভ্যান ও রিকশা চালকদের আয় কমে গেছে।