সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে গত দুই দিনে পৃথক দুটি মামলায় ৭ চোরকে গ্রেপ্তারসহ চুরি যাওয়া ব্যাটারিচালিত মিশুক গাড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) মিশুক চুরির মামলায় ৪ চোরকে এবং গত রোববার গরু চুরির মামলায় গ্রেপ্তারদের সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে জগন্নাথপুর পৌরসভার এনায়েতনগর এলাকার মিশুক চালক তাওহিদ মিয়ার গাড়িটি জগন্নাথপুর বাজারের মোবাইল মার্কেটের সামন থেকে চুরি হয়ে যায়। পরে সে অজ্ঞাতনামা চোরদের বিরুদ্ধ জগন্নাথপুর থানায় মামলা করে।
ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামছুল আরেফীন বলেন, মিশুক চুরির ঘটনায় রানীগঞ্জ সেতুর টোল প্লাজার সিসিটিভির ফুটেজ দেখে গত রোববার রাতে মোহন নামের এক চোরকে আটক করি। পরে তার তথ্যমতে অপর তিন চোরকে গ্রেপ্তারসহ চুরি যাওয়া গাড়িটি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, উপজেলার শ্যামারগাঁও গ্রামের আফিক উল্লার ছেলে সুমন মিয়া (৩১), আমিনপুর গ্রামের তালেব আলীর ছেলে জিয়াউর রহমান জিয়া (৩০), নেত্রকোনার মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী গ্রামের হাসিম মিয়ার ছেলে মোহন আহমদ (২০) ও হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কাজিরগাঁও গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে দুলন মিয়া (৩০)।
এদিকে, গত ১০ জানুয়ারি রাতে উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের শ্রীরামসি গ্রামের তফজ্জুল হকের গোয়ালঘর থেকে তিনটি গরু চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তফজ্জুল হক বাদী হয়ে গত রোববার ৫ জনের নামের মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলার তিন আসামীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
তারা হলেন, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার চান্দভরাং গ্রামের মৃত আজির উদ্দিনের ছেলে বাচ্চু মিয়া (৩৫), উপজেলার শ্রীরামসি গ্রামের মৃত মশাহিদ আলীর ছেলে আঞ্জু মিয়া (৪৫) ও একই গ্রামের মৃত আব্দু মিয়ার ছেলে সাদিক মিয়া (৩৮)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, গত দুই দিনে পৃথক দুটি চুরির ঘটনায় ৭ চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব ঘটনার সাথে জড়িত বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারসহ চুরি যাওয়া গরু উদ্ধারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।