ঢাকা, বুধবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ই পৌষ ১৪৩১

জগন্নাথপুরের হাওরে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ নিয়ে চিন্তিত কৃষক

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি: | প্রকাশের সময় : বুধবার ৬ এপ্রিল ২০২২ ১১:৩৩:০০ পূর্বাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন

 



সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় হাওরের ফসল রক্ষায় ১৪ টি বেড়িবাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। এনিয়ে কৃষকরা বোরো ফসল উত্তোলন নিয়ে চিন্তিত। প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঝড় বৃষ্টি হলে এসব বেড়িবাঁধ মুহূর্তেই ভেঙে হাওরে পানি ঢুকে ফসলহানির ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

এ অবস্থায় সোমবার বিকেলে হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ সংস্কার উপজেলা কমিটির জরুরি সভা ডাকা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব, চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছদরুল ইসলাম,আশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব খান জগন্নাথপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শঙ্কর রায় প্রমুখ সভায় হাওরের ফসল রক্ষায় সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিকে নিজ নিজ ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ ফসল উত্তোলনের আগ পর্যন্ত তদারকি ও সংরক্ষণ করতে বলা হয়। এবং এসব কার্যক্রম মনিটরিং করতে মনিটরিং কমিটি ও উপজেলায় একটি কন্ট্রোলরুম খোলার সিদ্ধান্ত হয়।

কৃষক ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায় জগন্নাথপুর উপজেলায় ২৮ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ করা হয়। তারমধ্যে ১৩ প্রকল্পের বেড়িবাঁধ রয়েছে ঝুঁকিতে। প্রকল্প লগুলো হচ্ছে ১, ৫-১৪ ও ১৬ ১৭, ২০ নং প্রকল্পের বেড়িবাঁধ।

হাওর বাঁচাও আন্দোলন জগন্নাথপুর উপজেলার কমিটির আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন,নলুয়ার হাওরের অধিকাংশ প্রকল্পের কাজের মান সন্তোষজনক নয়। সামান্য বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল এলে এসব বেড়িবাঁধ ভেঙে হাওরে পানি ঢুকতে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ সালিকার বেড়িবাঁধ প্রকল্পের সভাপতি সান্ত্বনা বেগম জানান,তার প্রকল্পে সালিকার বাঁধ খুব ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রকল্পে বাঁশ ও বস্তা ধরা হয়নি।এখন ঝুঁকি দেখে বলা হচ্ছে কিছু বাঁশ বস্তা ফেলার জন্য। যতটুকু বলা হচ্ছে আমি ততটুকু করেছি। কিন্তু তা বাঁধ রক্ষায় পর্যাপ্ত নয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জগন্নাথপুর উপজেলার মাঠ কর্মকর্তা হাসান গাজী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্পসহ সবকটি প্রকল্পে গুরুত্ব দিয়ে কাজ চলছে। আমরা সার্বক্ষণিক তদারকি করছি।

জগন্নাথপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বলেন, গত দুই দিন ধরে দিনরাত হাওরে আছি। কিছু কিছু এলাকায় বাঁধ রক্ষায় সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়ায় অভিভূত। গতরাতে কৃষকদের সাথে বেড়িবাঁধগুলোতে ছিলাম। ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করে কাজ চলছে।