বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী আজ (১৯ জানুয়ারি )। ১৯৩৬ সালের এই দিনে বগুড়ার গাবতলীর বাগবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। দলের প্রতিষ্ঠাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে বিএনপির ও দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো।
জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে খেমকারান সেক্টরে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টরের এবং পরবর্তীতে ‘জেড ফোর্স’ ব্রিগেডের কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। বিশ্ব মানচিত্রে তিনি বাংলাদেশ ও বাংলাদেশিদের ব্যাপকভাবে পরিচিত করিয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, একজন সৈনিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও তার জীবনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দেশের সকল সংকটে তিনি ত্রাণকর্তা হিসেবে বার বার অবতীর্ণ হয়েছেন। দেশকে সংকট থেকে মুক্ত করেছেন। অস্ত্র হাতে নিজে যুদ্ধ করেছেন। যুদ্ধ শেষে আবার পেশাদার সৈনিক জীবনে ফিরে গেছেন। আজকের এই দিনে আমি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বেলা ১১টায় শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত নেতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবেন বিএনপির নেতারা। শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ছাড়াও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা অংশ নেবেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় ড্যাবের সহযোগিতায় আয়োজন করা হয়েছে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের। পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিএনপি।
এদিন বগুড়ায় গাবতলীর বাগবাড়ি গ্রামে জিয়াউর রহমানের জন্মস্থানে শীতবস্ত্র বিতরণের কর্মসূচি নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটি। সেখানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত থাকবেন।