ঢাকা, মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১লা আশ্বিন ১৪৩১

জেলা পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিক প্রতিনিধিদের আলোচনা

ভোলা প্রতিনিধিঃ | প্রকাশের সময় : সোমবার ২৮ নভেম্বর ২০২২ ০৬:০৪:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

ভোলায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ভুমিদস্যুরা মিথ্যা এমপি মামলা করার ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সাথে আলোচনা করেছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। রোববার বিকালে নেতৃবৃন্দরা জেলা পুলিশ সুপারের সাথে তার কার্যালয়ের হল রুমে এ আলোচনা করেন।

আলোচনায় তারা ভোলার প্রবীণ সাংবাদিক দৈনিক আজকের ভোলার সম্পাদক ও ভোলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ শওকাত হোসেন, দৈনিক নয়াদিগন্ত ও এসএটিভি জেলা প্রতিনিধি এডভোকেট সাহাদাত শাহিন, ৭১টিভির সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মুজাহিদুল হক রুমেনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ১০ নভেন্বর এমপি-৬১৪/২২ এবং সিনিয়র সাংবাদিক মিজানুর রহমানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ৩১ আগষ্ট এমপি-৪৫১/২২ পৃথক দুটি মিথ্যা মামলার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেন। সাংবাদিকরা পুলিশ সুপারকে জানান, পরানগঞ্জের ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী ফোরকান এবং শিবপুরে সায়েদ ও আবু মুসা বাহিনী জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের উপর হামলা, নির্যাতন, মারপিট, লুট, দখলবাজি করতে থাকেন। তাদের বিরুদ্ধে পৃথক ৩টি মামলা করা হয়েছে। আরো মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে। ওইসব মামলাকে ধামাচাপা দিতে কাউন্টার হিসাবে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় যেসব কাহিনী উল্লেখ করা হয়েছে তা সাংবাদিক বা ওই এলাকার কোন লোকেই জানেনা। তারা তাদের স্ত্রী, ভাবীসহ বিভিন্ন মহিলাদেরকে মামলার ভিকটিম এবং সন্ত্রাসী, ভুমিদস্যু, মাদক কারবারিদেরকে স্বক্ষী হিসাবে ব্যবহার করছে অথচ ওই মহিলারাই  বা স্বাক্ষীরা প্রথমে ঘটনার বিষয়ে জানেননা। ভূমিদস্যুদের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলার ঘটনার সময় আলহাজ্ব শওকাত হোসেন ঢাকায় সাংবাদিকদের একটি সভায় উপস্থিত ছিলেন। এড. সাহাদাত শাহিন আদালতে মামলা পরিচালনা করছিলেন। মুজাহিদুল হক রুমেন ঢাকায় ৭১টিভিতে কর্মরত মোঃ শোয়েব ঢাকায় আড়ং কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। তা ছাড়া এমন ঘটনার বিষয়ে পরানগঞ্জ এলাকার কোন লোকেই জানেননা। সাংবাদিক মিজানুর রহমান ও তার ভাই, ভাইগ্নার মামলার ঘটনার বিষয়ে ঘটনাস্থলের কোন লোক বা সাংবাদিকেরা কিছুই জানেননা এবং এমন ঘটনা শিবপুর ৬নং ওয়ার্ডে কোন দিন ঘটেনি। ৮ নভেন্বন দুপুর ১২ টার দিকে ভুমিদস্যু সায়েদ ও আবু মুসা গংরা সাংবাদিক মিজানুর রহমান ও তার ফটো সাংবাদিক রাসেলকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাসপাতাল রোর্ডের টাউন স্কুল মাঠের পাশে রাস্তায় সিএনজি চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে তাদেরকে গুরুত্বর আহত করে। রাসেলকে ভোলা সদর হাসপাতাল চিকিসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়েছে।

অপরদিকে ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী ফোরকান, আরাফাত রহমান রাহাত, মোঃ ফরহাদ,ওয়াইবুর রহমান আরাত বাহিনী, মুজাহিদুল হক রুবেলকে হত্যার চেষ্টায় বেধড়র মারধর করে। রুবেল বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। ফোরকান বাহিনী রুবেল হত্যা চেষ্টার এবং সায়েদ, আবু মুসাগংরা মিজানুর রহমান এবং রাসেলকে হত্যার চেষ্টার ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্যেই মিথ্যা মামলার এই নাটক সাজিয়েছে। পুলিশ সুপার এ ধরনের মিথ্যা মামলায় সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের যুক্ত করায় হতভাগ হন। মিথ্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাদীপক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মনগড়া তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার পায়তারা করছে বলে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ জানান। তারা উক্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন এবং সুষ্ঠু তদন্তের দাবী জানান। জেলা পুলিশ সুপার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের কথা শুনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন এবং সুষ্ঠু তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ভোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম হাবিবুর রহমান, দৈনিক আজকের ভোলার সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাম্মদ শওকাত হোসেন, ইন্ডিপেডেন্ট টিভির জেলা প্রতিনিধি এডভোকেট নজরুল হক অনু, সিনিয়র সাংবাদিক মিজানুর রহমান, ভোলা প্রেসক্লাবের সম্পাদক অমিতাভ রায় অপু, এটিএন বাংলা ও দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি আহাদ চৌধুরী তুহিন, দৈনিক নয়াদিগন্ত ও এসএটিভির জেলা প্রতিনিধি এডভোকেট সাহাদাত শাহিন, সময় টিভি ও দৈনিক সমকালের জেলা প্রতিনিধি নাসির লিটন, দৈনিক ভোলার বানীর সম্পাদক মোঃ মাকসুদুর রহমান, একুশে টিভির জেলা প্রতিনিধি মেজবাহউদ্দিন শিপু, জিটিভি জেলা প্রতিনিধি এম হেলাল উদ্দিন, উপকূল প্রেসক্লাবের সভাপতি বশির আহমেদ, দৈনিক কালবেলা জেলা প্রতিনিধি প্রভাষক মনিরুল ইসলাম, যমুনা টিভি জেলা প্রতিনিধি জুয়েল সাহা, দৈনিক ভোরের পাতা জেলা প্রতিনিধি ফরহাদ হোসেন, দৈনিক তৃতীয়মাত্রা জেলা প্রতিনিধি ইয়াছিনুল ইমন, ভোলানিউজ২৪ডটকম এর নির্বাহী সম্পাদক রাকিব উদ্দিন অমি, দৈনিক আজকের ভোলার সহযোগী সম্পাদক এম শাহরিয়ার জিলন, আনন্দ টিভি জেলা প্রতিনিধি এম রহমান রুবেল, দৈনিক আজকের ভোলার স্টাফ রিপোর্টার এম মইনুল এহসান, রাকিব হাওলাদার, পারভেজ বাঁধন প্রমুখ।

সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন ঘটনা সাজিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় ভোলা সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।