ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১

ঝিনাইদহে একই ঘটনায় পুলিশের দু’রকমের প্রতিবেদন!

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:৫৮:০০ অপরাহ্ন | খুলনা

বাড়িতে হামলা চালিয়ে করা হয় লুটপাট। হামলায় আহত হয় ২ জন। এ নিয়ে আদালতে দুই ভুক্তভোগী মামলা করলে তদন্তের দ্বায়িত্ব পরে দুই পুলিশ কর্মকর্তার। ঘটনার সত্যতা থাকলেও আসামীদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তা দিয়েছেন মিথ্যা তথ্য। ঘটনার দিন নাকি কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি বলে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন তিনি। অবশ্য আরেক পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনার দিনের বিস্তারিত প্রতিবেদন দিয়েছেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের এস আই সোহাগ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা তদন্তে এমন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আসামীদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে এস আই সোহাগ তদন্তে মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বাদী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২ জানুয়ারি ডাকবাংলা বাজারের কাজী সড়কের মৃত তাহাজ উদ্দিনের ছেলে কাজী ফারুক ও তার ছোট বোন কাজী শাহানাজের উপর ওই এলাকার সন্ত্রাসী আব্দুল বারী, আবুল কালাম ওরফে বাবুল মাস্তান, মোমিন ড্রাইভার, সালাম, কাজী মালেক, কাজী পিলু, কাজী বিশারত, কাজী সিরাজ,কাজী তরিকুল হামলা চালায়। হামলাকারীরা কাজী ফারুক ও কাজী শাহানাজকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে বাড়ির মালামাল, সকল কাগজপত্র, মোবাইল, ল্যাপটপ, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার পর  ৪ তারিখে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয় কাজী ফারুক। চোখে গুরুতর আঘাত পাওয়ায় ৭ তারিখে ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা নেয় তিনি। এ ঘটনায় কাজী ফারুক ও কাজী শাহানাজ আদালতে মামলা দায়ের করে। কাজী ফারুকের মামলার তদন্ত করে ডাকবাংলা ক্যাম্পের এসআই সোহাগ হোসেন ও কাজী শাহানাজের মামলার দ্বায়িত্ব পায় ঝিনাইদহ সদর থানার এস আই সামিম হোসেন।

কিন্তু মামলার তদন্তে এস আই সোহাগ আসামীপক্ষের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ওইদিন কোন ঘটনা ঘটেনি বলে উল্লেখ করেন। তবে এস আই সামিম হোসেন ওইদিন ঘটনা ঘটেছে বলে প্রতিবেদন দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী কাজী ফারুক বলেন, এস আই সোহাগ আসামীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে আমার মামলার মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছে। তিনি তদন্তে বলেছেন, ৪ তারিখে বাদির বাড়িতে গিয়ে তাদের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দিই। কিন্তু ওইদিন আমি ও আমার ছোট বোন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। ভর্তির কাগজও আমার কাছে রয়েছে। এছাড়া আমার বোনের মামলায় এস আই সামিম হোসেন তাহলে কিভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। আমি এই দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এস আই সোহাগ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিন বলেন, যেহেতু দুটি মামলার তদন্ত দুই কর্মকর্তা করেছেন। যে যা তদন্ত করে পেয়েছেন তাই রিপোর্ট দিয়েছেন। যদি বাদীর আপত্তি থাকে তাহলে নারাজি দিলে নতুন করে তদন্ত হবে।