টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের উপ-নির্বাচনে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে ৩ জনই তাদের জামানত হারিয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী খান আহমেদ শুভ ১,০৪,০৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির পেয়েছেন ১৬,৭৭৩ ভোট।
টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান বলেন, উপ-নির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলায় ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৯ জন ভোটারের মধ্যে ১,২৪,৭৫১ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। শতকরা ৩৬.৬৩ ভাগ ভোট কাস্ট হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কাস্টিং ভোটের সাড়ে ১২% এর কম পেলে তিনি জামানত হারান। সে হিসেবে ৩ জন প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন- বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির গোলাম নওজব চৌধুরী পাওয়ার (হাতুড়ি) ১০৪৫ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম নুরু (মোটরগাড়ি কার) ২৪৩৬ ও বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির রুপা রায় চৌধুরী (ডাব) ৪৩৮ ভোট।
এদিকে এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ এনে ভোট গ্রহণের শেষ সময়ে গোলাম নওজব চৌধুরী পাওয়ার নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থীও কারচুপির অভিযোগ করেছেন।
বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে সরেজমিনে দেখা যায়, সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে উপস্থিতি বাড়তে থাকে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ভোটাররা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ভোট দেন। ইভিএম নিয়ে ভোটারদের মধ্যে কৌতুহল কাজ করে। খন্দকার নুরুন্নবী (৮০) নামের এক ভোটার বলেন, আমি বানিয়ারা কেন্দ্রে সকালেই ভোট দিয়েছি। পরিবেশ অত্যন্ত ভাল।
উপনির্বাচনে বিজয়ী খান আহমেদ শুভ বলেন, আমি জননেত্রী শেখ হাসিনা, মির্জাপুরবাসী এবং দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে সবাইকে সাথে নিয়ে স্বপ্নের মির্জাপুর গড়ার লক্ষ্যে কাজ করবো।
উল্লেখ্য, গত বছরের (১৬ নভেম্বর) এ আসনের টানা ৪ বারের সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মারা যান। গত (৩০ নভেম্বর) আসনটি শূন্য ঘোষণা করে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। রোববার (১৬ জানুয়ারি) প্রথমবারের মতো ভোট গ্রহণ হয়।