টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে শহীদ সালাহউদ্দিন সেনানিবাসে সোমবার বিকেলে (২১ নভেম্বর) যথাযোগ্য মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বিকেলে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান, কেক কাটা ও প্রীতি সম্মিলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও ঘাটাইল এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী।
এ সময় তিনি সশস্ত্র বাহিনী দিবসের বিভিন্ন তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতা অর্জনের যুদ্ধে তৎকালীন সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনী একত্রিত হয়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য। মুক্তিযুদ্ধের সম্মিলিত এই প্রয়াস শুরু হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর আজকের এই দিনে।
এর আগে ২৫ মার্চ সেনা, ১০ ডিসেম্বর নৌ এবং বিমান বাহিনী ২৮ সেপ্টেম্বর আলাদাভাবে দিবসসমূহ পালন করতো। পরবর্তীতে ২১ নভেম্বরের তাৎপর্য সমুন্নত রাখতে সম্মিলিত দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালনের পেছনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সক্রিয়। মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন সামরিক বাহিনীর অবদানকে একীভূত করে দেখা হয়।
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের এই অনুষ্ঠানে আতাউর রহমান খান এমপি, হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী এমপি, খান আহমেদ শুভ এমপি, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গণি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের কেক কাটা হয়। পরে বাদক দলের ব্যাদ্যসহ সেনাবাহিনীর সক্ষমতা তুলে ধরতে বিভিন্ন শারিরীক কসরত প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে সম্মাননা উপহার তুলে দেন ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও ঘাটাইল এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী।