ঢাকা, রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১

তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ১৮ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:১৯:০০ অপরাহ্ন | এক্সক্লুসিভ

প্রায় সপ্তাহখানেকের টানা তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দিনে যাদের কাজ ঘরের বাইরে, তাদের যেন একবারেই জবুথবু অবস্থা।

 

তাপপ্রবাহের কারণে তাদের আয়-উপার্জনেও পড়ে ভাটা।

রাজধানীসহ সারাদেশে তাপদাহে পুড়ছে মানুষ। অন্য বছরগুলোতে যদিও মাঝে মধ্যে সামান্য বৃষ্টি ও বৈশাখী ঝড়ের দেখা মেলে। এবার এখনও তেমন ঝড়-বৃষ্টির দেখা মেলেনি।

 

দেশে টানা কয়েকদিন যাবৎ চলা অসহনীয় তাপপ্রবাহের মধ্যে নববর্ষের প্রথম দিনে আরও অধিক তেজ দেখিয়েছে সূর্য। যদিও চলতি মৌসুমের উষ্ণতম দিন ছিল সোমবার (১৭ এপ্রিল)। এদিন পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। তবে দিবাগত রাতে সামান্য বাতাস যেন এই তাপপ্রবাহকে কিছুটা হলেও শক্তিহীন করেছে।

 

তাপপ্রবাহে অনেকের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, আগামী কয়েক দিনে গরমের এই দশা থেকে মিলবে না মুক্তি। তাপদাহের এই সময়ে খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

 

তাপদাহে বেশি কষ্টে আছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালক ও কৃষকরা। ফেটে চৌচির ফসলি ক্ষেত। ঝরে পড়ছে আম-লিচুর মুকুল। এমন পরিস্থিতিকে ‘দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া’ ঘোষণা করে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

এছাড়াও কয়েকদিনের টানা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে শিশু-কিশোররা খুঁজে বেড়াচ্ছেন নদী-নালা, খাল-বিল ও ডোবার পানি। সকাল থেকে শিশু-কিশোররা দলবেঁধে সাঁতার কাটতে চলে আসছে। শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পানিতে সাঁতার কাটতে দেখা যায় তাদের।

 

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) ডেমরা থানার মালা মার্কেট এলাকার বিশাল এক পুকুরে সকাল থেকে দলবেঁধে শিশু-কিশোরদের সাঁতার কাটতে দেখা যায়। ডেমরা, সারুলিয়া, কোনাপাড়া, মাতুয়াইল ও রূপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে এই পুকুরে সাঁতার কাটতে প্রতিদিনই ভিড় করে নানা পেশার মানুষ। সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলযোগে অনেকেই এখানে আসেন সাঁতার কাটতে। তবে বেশিরভাগই শিশু-কিশোর।

 

রূপগঞ্জ থেকে দলবেঁধে আসা শিশু-কিশোরদের মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতেই এখানে আসে সাঁতার কাটতে। তাদের মধ্যে অপু, রাতুল জানায়, আমাদের বাড়ির খুব কাছেই এই পুকুর। তাই আমরা প্রতিদিন এখানে আসি এবং দুই তিন ঘণ্টা সাঁতার কাটি। আজকে আমরা ১০-১৫ জন এক সঙ্গে এসেছি সাঁতার কাটতে।