ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দাবী মেনে নেওয়ার আশ্বাসে হলে ফিরেছে ছাত্রীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২১ জুলাই ২০২২ ১২:২৪:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চার দফা দাবিতে আন্দোলন করা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ ছাত্রীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। বুধবার (২০ জুলাই) রাত ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত চবি উপাচার্যের বাসভবনে সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেন শতাধিক শিক্ষার্থী।

এসময় চার দফা দাবি জানিয়েছে আন্দোলনরত ছাত্রীরা। তাদের দাবি গুলোর মধ্যে রয়েছে- ২৪ ঘণ্টা ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। মেডিক্যাল ও আবাসিক হলে প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা থাকবে না। যৌন নিপীড়ন সেল ভেঙে নতুন কার্যকরী যৌন নিপীড়ন সেল গঠন করতে হবে এবং গঠিত সেলে বিচার নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ সময় থাকবে এক মাস। এক মাসে বিচার নিশ্চিত করণে ব্যর্থ হলে যৌন নিপীড়ন সেল নিজে শাস্তির আওতাভুক্ত হবে। চার কর্ম দিবসের মধ্যে ছাত্রী হেনস্তায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারলে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পদত্যাগ করবেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়ে প্রক্টরিয়াল বডিকে লিখিত আশ্বাস দিতে হবে।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক সেলিনা আখতার ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।

প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, প্রীতিলতা হলের এক ছাত্রী হেনস্তার অভিযোগ পাওয়ার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটি পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে। এরপরও ছাত্রীরা বেশকিছু দাবি জানিয়ে আন্দোলন করেছে। আমরা তাদের কথা শুনেছি। যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ার পর তারা হলে ফিরেছে।

এর আগে গত রোববার (১৭ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা হলের পাশে শারীরিক হেনস্তার শিকার হন এক ছাত্রী। ওই সময় তার সঙ্গে থাকা তার বন্ধুকেও মারধর করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিলে ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে ২০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের হলে প্রবেশের ব্যাপারে সময়সীমা বেঁধে দিলে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।