সাংবাদিকতায় দীপঙ্কর চক্রবর্তী স্মৃতিপদক পাচ্ছেন বগুড়ার তিন সাংবাদিক। বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিইউজে) বিগত ৪বছর ধরে এই স্মৃতিপদক প্রদান করছে। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য এবার যে তিনজন মনোনীত হয়েছেন তাঁরা হলেন দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার ও বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন, দৈনিক ইত্তেফাকের নিজস্ব প্রতিবেদক মিলন রহমান ও দৈনিক কালের কণ্ঠের ফটো সাংবাদিক ঠান্ডা আজাদ। আগামী ২ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্মৃতিপদক প্রদান করা হবে।
বিইউজে'র সাধারণ সম্পাদক জে এম রউফ জানান, ২০০৪ সালের ২ অক্টোবর সাংবাদিক দীপঙ্কর চক্রবর্তী নিজ কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে বাড়ির সন্নিকটে খুন হন। সেসময় তিনি বগুড়া থেকে প্রকাশিত দুর্জয় বাংলা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহ-সভাপতি ছিলেন। ওই ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে পার্থ সারথী চক্রবর্তী বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকেই তা নিয়ে লুকোচুরি শুরু হয়। থানা থেকে ডিবি, সেখান থেকে সিআইডি হয়ে আবারও মামলার তদন্ত যায় ডিবিতে। এরই মাঝে তিন দফা মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। বাদির নারাজির প্রেক্ষিতে মামলা ঘুরে ডিবিতে আসার পর ২০১৭ সালের ৭মার্চ বগুড়ার তৎকালীন পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান এক সংবাদ সম্মেলন ডাকেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছেন সাংবাদিক দীপঙ্কর চক্রবর্তী। তাদের হাতে গ্রেপ্তার জঙ্গি রাজীব গান্ধী ৬ মার্চ বগুড়ার বিচারিক হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে রাজীব নিজেসহ চার জঙ্গি হত্যাকান্ডে অংশ নেয়ার কথা উল্লেখ করে। অপর তিন জঙ্গি হলো সারওয়ার জাহান মানিক, সানাউল্লাহ ও নুরুল্লাহ। পরে তাদের নামে পুলিশ অভিযোগ পত্র দাখিল করে।
ওই হত্যাকান্ডের পর থেকেই বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়ন লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছে। বিগত ২০১৯ সাল থেকে স্মৃতিপদক প্রদান করা হচ্ছে। ২ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক ভাবে তা প্রদান করা হয়। এবারও একই দিন বেলা ১১টায় বগুড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্মরণসভা শেষে স্মৃতিপদক প্রদান করা হবে।