ঢাকা, মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দুটি কিডনিই ড্যামেজ অসহায় বকুলের: আর্থিক সহায়তার আবেদন, সন্তানের জন্য বেঁচে থাকার আকুতি

মোঃ মিজানুর রহমান, জয়পুরহাট: | প্রকাশের সময় : সোমবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২১ ১১:৩৭:০০ পূর্বাহ্ন | গণমাধ্যম
দুই কিডনি একেবারে ড্যামেজ হয়ে গেছে বকুল মিয়ার (৪৫)। সময় যত যাচ্ছে মৃত্যুর ঝুঁকি ততই বাড়ছে বকুলের। টাকার অভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন না তিনি। জয়পুরহাট কালাই উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের বাসুড়া গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে বকুল মিয়া (৪৫)। 
চিকিৎসক বলেছেন, দ্রুত তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। কিডনি প্রতিস্থাপন কর‍তে যদিও দেরি হচ্ছে তবে, সময়মত তার কিডনি ডায়ালাইসিস করতে না পারলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম। সে ক্ষেত্রে তার কিডনি নিয়মিত ডায়ালাইসিস কিংবা  পরিবর্তন করার কোন বিকল্প নেই। 
 
প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ চিকিৎসার পর বগুড়ার কয়েক টি ক্লিনিকে ডাঃ স্বপন কুমার সাহা এবং ডাঃ মোঃ আহছান হাবিব ও ডাঃ মোঃ রেজাউল করিমের  চিকিৎসা নেন। অর্থকরি না থাকায় এখন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ চিকিৎসা নিচ্ছে বকুল মিয়া। সেখানে  তাকে দ্রুত উচ্চতর চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। 
 
কান্না জড়িত কন্ঠে বকুল মিয়ার বৃদ্ধ মা নুরুন্নাহার বলেন,  আমার ছেলে বকুলের গ্রামবাসী ও এলাকাবাসীর সাহায্যে নিয়ে ৪ বছর ধরে কিডনি রোগের  চিকিৎসা চলছে । রোগের কারণে ছেলের বউ ছোট সন্তান কে রেখে বাড়ি ছেরে চেলে গেছে। আমি তার এত কষ্ট সহ্য করতে পারছিনা।  দেশবাসীকে অনুরোধ করে বলেন, আপনারা  আমার ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন, তাহলে চিকিৎসার মাধ্যমে আমার ছেলে বেঁচে যেতে পারে।  
বকুল মিয়া বলেন, সব হারিয়ে আমি এখন নিঃশ্ব। জায়গা, জমি, ঘর, বাড়ি বলতে আমার কিছুই নেই। এখন আমার মা'র একটা ঘরে থাকি। হাটতে কষ্ট হলেও জীবন বাঁচার তাগিদে  মানুষের কাছে হাত পাতিয়ে যা হয় কোনমতে ঔষধ কিনি। ডাঃ যে পরামর্শ দিয়েছেন তাতে থাকতো কিডনি পরিবর্তন করা দূরের কথা বরং কিডনি ডায়ালাইসিস করার সামর্থ আমার নেই। আমি বাঁচতে চাই। আর্থিক সহযোগিতার জন্য সকলকে পাশে দাড়ানোর অনুরোধ তার । 
 
বাসুড়া গ্রামের লিপটন, ওয়ারেছ মিয়া এবং ছানা মিয়া ও রতন মিয়া বলেন, তার জমি-জমা, বাড়ি-ঘর কিছুই নেই। আমাদের গ্রামের লোকজনের পারত পক্ষে সহযোগিতায় কিছুদিন চিকিৎসা চলে। তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যাওয়াতে এখন সে অসহায়। দেশের সরকার ও বিত্তবানরা যদি বকুল মিয়ার পাশে দাঁড়ায় তাহলে সে বাঁচতে পারে। 
 
কালাই উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সাদিকুর রহমান (অতিঃদাঃ)  বলেন, কিডনি ও লিভারসিরোসিস রোগে আক্রান্ত রোগীদের সাহায্যের একটি  প্রোগ্রাম আমাদের রয়েছে। এ সমস্ত রোগীরা নির্ধারিত ফর্মে আবাদেন পর জেলা কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হলে এককালীন ৫০ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। 
বকুল মিয়ার চিকিৎসার জন্য সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিবর্গ এবং প্রবাসীরা সরাসরি যোগাযোগ করতে ও আর্থিক সহযোগিতা পাঠাতে চাইলে: ০১৭৪০৫৫৬২৫৪  (পারসোনাল নগদ, বিকাশ, রকেট নাম্বার, তবে রকেটে টাকা পাঠাতে চাইলে শেষে ৪ যোগ করতে হবে)