আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি গৌরব-ঐতিহ্য, সফলতা আর সাহসী পথচলার ২৪ বছরে পর্দাপণ করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত বৃহত্তর চট্টগ্রামের গণমানুষের প্রিয় দৈনিক সাঙ্গু পত্রিকা। পথচলার সূদীর্ঘ ২৪ বছরে কখনো পক্ষপাতমূলক সাংবাদিকতা করেনি দৈনিক সাঙ্গু।
জানা গেছে, আমরা নিরপেক্ষ নই, সত্যের পক্ষে-এ শ্লোগান নিয়ে ২০০২ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অথ্যাৎ আজ থেকে ২৪ বছর পূর্বে আজকের জনপ্রিয় দৈনিক সাঙ্গু পত্রিকাটি মাসিক সাঙ্গু হিসেবে পথচলা শুরু করে। পরবর্তীতে পত্রিকাটি রুপ পায় পাক্ষিক হিসেবে। দীর্ঘ পথ পরিক্রমার পর ঠিক পনের বছর পূর্বে সাঙ্গু পত্রিকাটি বৃহত্তর চট্টগ্রামের গণমানুষের প্রিয় দৈনিক হিসেবে নিয়মিত এবং ধারাবাহিক প্রকাশ অব্যাহত রেখে পাঠক সমাজের মাঝে স্থান দখল করে নেয়।
চট্টগ্রামের পাঠক সমাজের মতে, পহেলা ফেব্রুয়ারি দৈনিক সাঙ্গু ২৩ বছর পেরিয়ে ২৪ বছরে পর্দাপণের মধ্যদিয়ে গৌরবদীপ্ত ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। এই সূদীর্ঘ পথচলায় দৈনিক সাঙ্গু কখনো আধুনিকতার নামে সস্তা পাঠক প্রিয়তার পথে পা বাড়ায়নি। তাই দৈনিক সাঙ্গু আজ পাঠকনন্দিত। কবির হোসেন সিদ্দিকী পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক। তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত দৈনিক সাঙ্গু চট্টগ্রামের বুকে জন্ম দিয়েছে বহু সাংবাদিক, সাহিত্যিক, কবি ও গবেষককে-যাঁরা এই পত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে তাঁদের প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়েছেন।
জানা গেছে, শুরু থেকেই দৈনিক সাঙ্গু এতদঞ্চলের জনমানসে রাজনৈতিক স্বাধিনতা, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি অর্জনের স্পৃহাকে অদম্য জাতীয়তাবাদী চেতনার আলোকে জাগিয়ে তুলতে ও বিকশিত করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। প্রতিযোগীতার বাজারে ২৪ বছর পাঠক প্রিয়তা ধরে রেখে টিকে থাকা অত্যন্ত কষ্টকর হলেও দৈনিক সাঙ্গুর পাঠক প্রিয়তা দিনদিন বেড়েই চলেছে। সেই সাথে বাড়ছে পত্রিকার প্রচার সংখ্যাও। যুক্তিনিষ্ঠ, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং নিরপেক্ষভাবে দীর্ঘ বছর ধরে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে পত্রিকাটির অবস্থান। তাই দৈনিক সাঙ্গু আজ পাঠক সমাজে সমাদৃত।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পত্রিকাটির নামকরণের পেছনেও রয়েছে লম্বা এক ইতিহাস। খর¯্রােতা সাঙ্গু নদীর নামের আদলেই দৈনিক সাঙ্গু নামকরণ হয়। দেখতে দেখতে ২৩ বছর পেরিয়ে ২৪ বছরে অসীম সাহসিকতার সাথে পা রাখলো দৈনিক সাঙ্গু। জনপ্রিয় এই পত্রিকাটির প্রকাশক-সম্পাদক কবির হোসেন সিদ্দিকী। তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত দৈনিক সাঙ্গু শুরু থেকেই সমগ্র চট্টগ্রামের উন্নয়ন তথা এতদঞ্চলের মানুষের সুখ-দুঃখ ও সমস্যা-সম্ভাবনা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে সাহসী প্রতিবেদন প্রকাশ করে চলেছে। কখনো রক্তচক্ষুকে ভয় করেননি তিনি। বরং পত্রিকাটি জনগণের পক্ষে অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে চলেছে সাহসীকতার সহিত।
বানিজ্যিক রাজধানীখ্যাত বন্দরনগরী চট্টগ্রামের উন্নয়ন, অর্থনীতি-সমাজনীতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দৈনিক সাঙ্গু অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ ও সাহসী কথা বলে এবং দৃঢ়তার সঙ্গে বলে। পাঠক সমাজ এবং জনগণ যে ভাষা পছন্দ করে দৈনিক সাঙ্গু ঠিক সেই ভাষাতেই কথা বলে- পত্রিকাটির অনেক প্রতিবেদন, সম্পাদকীয় ও উপ-সম্পাদকীয়তেও এটি পরিস্ফুটিত হয়।
দৈনিক সাঙ্গু প্রসঙ্গে কলামিষ্ট ড. মোহম্মদ মাসুদ চৌধুরী বলেন, সবচাইতে বড় কথা হলো, পত্রিকাটিতে স্বাধীনভাবে লেখা যায়, যা উৎসাহব্যঞ্জক। একটি সংবাদপত্রকে তার সাহসী ভূমিকা দিয়েই মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে হয়। যা দৈনিক সাঙ্গু করতে পেরেছে বলে আমার বিশ্বাস। সম্পাদকীয় নীতির যে সূচনা দৈনিক সাঙ্গুতে প্রতিদিন পরিস্ফুটিত হয় নিঃসন্দেহে এই পত্রিকার সম্পাদক তার প্রশংসার দাবী রাখে।
তিনি বলেন, প্রকাশক ও সম্পাদক কবির হোসেন সিদ্দিকীর সূ-পরিচালনায় এবং ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দৈনিক সাঙ্গু আজ চট্টগ্রাম তথা এতদঞ্চলের গণমানুষের প্রিয় পত্রিকা হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা আর পাঠক প্রিয়তা অর্জন করেছে। এর পেছনের রহস্য একটিই প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দৈনিক সাঙ্গু প্রতিদিন সাধারণ মানুষের তথ্য এবং চাহিদা পূরণে যে প্রশংসনীয় ভ‚মিকা রেখে চলেছে ঠিক সেটি এখনো ধরে রেখেছে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ সব দেশের সংবাদ এবং সংবাদের বিশ্লেষণ দৈনিক সাঙ্গুতে প্রকাশ পাচ্ছে। এছাড়া এ পত্রিকার সম্পাদকীয় ও অন্যান্য নিবন্ধে দেশ-বিদেশের সঠিক চিত্রও প্রতিফলিত হয়।
সবমিলিয়ে পথচলার দীর্ঘ ২৪ বছরে কখনো পক্ষপাতমূলক সাংবাদিকতা করেনি দৈনিক সাঙ্গু।
বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দৈনিক সাঙ্গুর আয়োজন:
পহেলা ফেব্রুয়ারি’২৫ গৌরবের ২৪ বছরে পা রাখছে দৈনিক সাঙ্গু। এ উপলক্ষে সাঙ্গু কার্যালয়ে থাকছে সপ্তাহব্যাপী নানা আয়োজন। ৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টায় নিজস্ব কার্যালয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ, ৩১ জানুয়ারি দুপুর দুইটা থেকে কোরআন খতম ও মিলাদ মাহফিল। পহেলা ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপী শুভেচ্ছা বিনিময়, সংবর্ধনা, কেক কাটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ২রা ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপী রক্তদান ও শুভেচ্ছা বিনিময়। ৩রা ফেব্রুয়ারি বিকেল তিন টায় হকার ও এজেন্টদের সাথে মতবিনিময়। ৪ঠা ফেব্রুয়ারি শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও সাঙ্গু পরিবারের মিলন মেলা। ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সিআরবি সিড়িষ তলায় সাংস্কৃতিক উৎসব।
প্রগতিশীল সংবাদপত্র লেখক ফোরামের আয়োজন:
দৈনিক সাঙ্গুর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে প্রগতিশীল সংবাদপত্র পাঠক লেখক ফোরাম ও প্রগতি২৪টিভি’র পক্ষথেকে ব্যাপক আয়োজন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত: প্রতিবছর দৈনিক সাঙ্গুর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষথেকে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর একদিন পূর্বে সাঙ্গু কার্যালয়ে কেক কেটে জন্মদিনের সূচনা করা হয়। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটবে না।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে