গতকাল শনিবার রাতে ও রোববার দুপুরের জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে স্ব স্ব থানার পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- রাণীনগর উপজেলার পারইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জিল্লুর রহমান (৪৫) ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কাশিমপুর ইউনিয়ন কমিটির সহ-সভাপতি সাগর হোসেন (৩৩), ধামইরহাট উপজেলার উমার ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আ: কুদ্দুস (৪০), একই উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম (৪৫) এবং পত্নীতলা উপজেলার আকবরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওবাইদুল ইসলাম চৌধুরী।
এদিকে পত্নীতলা উপজেলার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ও চেয়ারম্যান ওবাইদুল ইসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার নিয়ে দুই থানার দুই রকমের মন্তব্য।
জানা যায়, রোববার দুপুরের দিকে আকবরপুর ইউনিয়ন এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার পুলিশ। তবে কোন থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে তা নিয়ে আছে ধোঁয়াশা।
রাণীনগর থানা পুলিশ জানায়, গত ২৪ আগষ্ট উপজেলা বিএনপির পার্টি অফিসে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২৬ আগষ্ট রাণীনগর থানায় নাশকতা মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় জিল্লুর রহমান ও সাগর হোসেন তদন্তপ্রাপ্ত আসামি। শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।
রাণীনগর থানার ওসি মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার দুইজনকে রোববার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ধামইরহাট থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, গত অক্টোবর মাসে উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে একটি মারামারি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ওই ইউনিয়নের জোতরামপুর এলাকার রাজু হোসেন বাদি হয়ে ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে করে আরও অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রাইসুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, মারামারি ও বিষ্ফোরক আইনে মামলার প্রেক্ষিতে আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে