ঢাকা, শুক্রবার ৩ মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১

নিত্যপন্য দ্রব্যের উর্দ্ধগতির বাজারে দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় ঝিনাইদহের পাট চাষীরা

বসির আহাম্মেদ, ঝিনাইদহ : | প্রকাশের সময় : বুধবার ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০২:৪৭:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

নিত্যপন্য দ্রব্যের উর্দ্ধগতির বাজারে দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় ঝিনাইদহের পাটের চাষীরা। বৃষ্টি না হওয়ায় অতিরিক্ত খরায় পাটের ফলনও হয়েছে কম। আবার সেচ দিয়ে পচাঁতে হয়েছে পাট। ফলে অন্যান্য বছরের তুলনায় পাট চাষে খরচ বেশি হয়েছে কৃষকের। কিন্তু বাজারে পাটের দাম না থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে পাট চাষীদের। এমতাবস্থায় পাটের দাম বৃদ্ধিতে সরকারের নজর দেওয়ার দাবি কৃষকদের।
জেলার সবচেয়ে বড় পাইকারী পাটের বাজার শৈলকুপা হাট ও নাঙ্গলবাঁধ হাট। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে এ হাটে পাট ক্রয়-বিক্রয়। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাট ক্রয় করতে আসেন ছোট-বড় পাইকাররা। বিভিন্ন প্রকার ভেদে পাট বিক্রি হচ্ছে ১৫’শ থেকে ২ হাজার টাকা মণে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর পাটের দাম নি¤œমুখী। পাট চাষে সার, কীটনাশক, বীজসহ চাষাবাদে খরচও হয়েছে বেশি। অতিরিক্ত খরচে পাট চাষ করে বাজারে দাম পাচ্ছে না কৃষকরা। ফলে খরচের টাকাও উঠছে না চাষীদের তাই পাটের দাম বৃদ্ধিতে সরকারের নজর দেওয়ার দাবি পাট চাষীদের।
পাট ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, পাটের মান ভালো না হওয়ায় আর বাজারে সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কমেছে পাটের । গত বছরের পাট এখনও গোডাউনে রয়েছে। পাট জাতদ্রব্যের রপ্তানি বৃদ্ধি পেলে পাটের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আমরা আশা করছি।
পাট চাষী শরীফুল ইসলাম জানান, আমার দু’বিঘা জমিতে পাটের চাষ ছিলো। তবে অনাবৃষ্টি আর প্রচন্ড খরায় পাটের ফলন কম হয়েছে। তবে গত বছরের পাট এখনও রয়েছে। এবছর বাজারে সরবরাহ বেশি থাকায় আর পাটের মান ভালো না হওয়ায় কমেছে পাটের দাম। সরকারের সহযোগীতায় বিভিন্ন দেশে পাট জাতদ্রব্যের রপ্তানি বেশি বেশি করার ব্যবস্থা করা হলে পাটের দাম বৃদ্ধি পাবে এবং পাট চাষীরা লাভবান হবেন বলে আমরা আশা করছি।
ঝিনাইদহ পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা কে এম আব্দুল বাকী বলেন, অনাবৃষ্টি আর প্রচন্ড খরায় পাটের ফলন কম হয়েছে। সেই সাথে খালে বিলে পানি না থাকায় সেচ দিয়ে পাট পচাঁতে হয়েছে। এতে পাটের মান খারাপ হয়েছে। তবে সব পাট বিক্রি না করে ঘরে মজুদ রেখে দাম বৃদ্ধি পেলে বিক্রির পরামর্শ পাট কর্মকর্তার।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজগর আলী জানান, এ বছর জেলার ৬ উপজেলায় ২২ হাজার ৫’শ ২৪ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। বিঘা প্রতি পাট চাষে খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা।