ঢাকা: নেতাকর্মীদের ওপর ভোটারবিহীন আওয়ামী সরকারের নির্যাতন-নিপীড়ন যত বাড়লে প্রতিবাদের ঝড়ের গতি তীব্র হবে বলে হঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (২০ মার্চ) এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ যখন গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে দিশেহারা।
এমন সময়ও ফ্যাসিষ্ট সরকার নির্বিচারে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে মামলা, হামলা, গ্রেফতার, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন ও কারান্তরীণ করা অব্যাহত রেখেছে। দেশের মানুষকে ব্যক্তিগত কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, নেত্রকোণাসহ দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে প্রতিনিয়ত তল্লাশির নামে হয়রানি করা হচ্ছে। মনে হচ্ছে-দেশটা এখন আওয়ামী লীগের পৈত্রিক সম্পত্তি। বর্তমান শাসকগোষ্ঠী দেশকে বিরোধী দলশুন্য করে নিজেদের একচ্ছত্র শাসন দীর্ঘায়িত করার গভীর চক্রান্তে লিপ্ত। বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল, এই দলটিকে ধ্বংস করে দেশে এক ব্যক্তির শাসন কায়েম করতেই বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে কারারুদ্ধ করার মাধ্যমে লক্ষ্য বাস্তবায়নের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
মহাসচিব বলেন, কর্তৃত্ববাদী সরকার এখন বুঝে গেছে যে, তাদের আয়ুস্কাল ফুরিয়ে এসেছে, আর এ কারণেই তারা এখন বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদেরকে মরণকামড় দিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন সাবেক শ্রীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মমিন আলী, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস ধীরেন, আনসার আলী ও আওলাদ হোসেনসহ ৫৩ জনকে ঢাকায় একটি সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অবিলম্বে গ্রেফতার নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।