ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ ১৪৩১

নেত্রকোনায় ভাড়া বাসার কক্ষ থেকে শিশু ছেলে ও বাবার মৃতদেহ উদ্ধার

নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৮ নভেম্বর ২০২১ ০৪:৩৭:০০ অপরাহ্ন | এক্সক্লুসিভ
নেত্রকোনা জেলা শহরের একটি ভাড়া বাসার কক্ষ থেকে আব্দুল কাইয়ূম (৩২) ও তার দুই বছরের শিশু ছেলে আহনাব শাকিলের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
 
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নেত্রকোনা পৌরসভার নাগড়া এলাকার পাঁচতলা বিশিষ্ট একটি ভবনের চতুর্থ তলার একটি কক্ষ থেকে পিতা-পুত্রের মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
 
দুপুরে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
 
তিনি বলেন, মৃতদেহ দুটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
 
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার গোপালের খা গ্রামের আক্কাস সরদারের ছেলে আব্দুল কাইয়ূম। তিনি নেত্রকোনায় ঔষধ প্রশাসনে চাকুরি করতেন এবং শহরের নাগড়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ বসবাস করে আসছিলেন।
 
আবদুল কাইয়ূমের স্ত্রী সালমা আক্তার জানান, নেত্রকোনা পৌরসভার নাগড়া এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন স্মৃতি সড়কের রুহুল আমীনের বাসার চতুর্থ তলায় গত প্রায় সাত বছর ধরে ভাড়া ভাড়া নিয়ে থাকতেন। প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতের খাবার খেয়ে রাত ১টার দিকে তারা একই কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে ভোর ৫টার দিকে উঠে পাশের রুমে স্বামী ও সন্তানের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান তিনি। পরে তিনি স্বামী ও সন্তানের লাশ নামিয়ে ফেলেন। এরপর বাসার দরজা খুলে বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানান। ঘটনা শুনে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। পরে
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
 
এদিকে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে আবদুল কাইয়ূমের স্ত্রী সালমা আক্তার (১৯) কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
 
বিষয়টি নিয়ে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে- সন্তানকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলে আবদুল কাইয়ুম নিজেও আত্মহত্যা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য দুজনের লাশ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।