গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় একটি দশতলা ভবনের ছাদে মুড়ি খাওয়ার সময় ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে বন্ধুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত যুবক সাব্বির হোসেন (২০)। সে কালিয়াকৈর উপজেলার আন্ধার মানিক গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে।
কালিয়াকৈর থানা পুলিশ জানায় প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হয়েছে একটি (অজ্ঞাত) মেয়ের সাথে প্রেমের ঘটনায় নিয়ে বাক বিতন্ডায় এ ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে কালিয়াকৈর সফিপুর ইউনিক টাওয়ারের ছাদে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাকিব, সাকিব এবং সাব্বির তিন বন্ধু একসাথে জিম সেন্টারে শারীরিক চর্চা শেষ করে। পরে তাঁরা ইউনিক টাওয়ারের বাসার ছাদে যায়। সঙ্গে ছিল করণ ও সোহান নামের দুই কিশোর। করণ ও সোহানকে দেশলাই আনতে দোকানে পাঠায়। কিছুক্ষণ পর করণ ও সোহান ফিরে আসার সময় নিচে মানুষের ভিড় দেখতে পায় এবং সেখানে গিয়ে রক্তমাখা অবস্থায় সাব্বিরকে পড়ে থাকতে দেখে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযুক্ত রাকিব ও সাকিব ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের (থাকার ঘর) ফ্ল্যাট তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান পরিচালনা করবে বলে জানায় পুলিশ। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
কালিয়াকৈর থানার এস আই আব্দুর রাজ্জাক জানান, ‘স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী রাকিব ও সাকিব নামে দুজন এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকতে পারে। অভিযুক্ত দুই সহোদর ভাই রাকিব ও সাকিব। দু'জনই স্থানীয় আব্দুর রহিমের পুত্র। ঘটনায় পর থেকে পলাতক রয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি মোবাইল ফোন, ধারালো চাপাতি অস্ত্র, মুড়িভর্তি একটি পট এবং একটি বাটি উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে বলে জানায় পুলিশ।