ঢাকা, শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২রা অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বাঁশখালীতে মসজিদ দখলের অপচেষ্টার প্রতিবাদে মুসল্লিদের বিক্ষোভ

শফকত হোসাইন চাটগামী, বাঁশখালী | প্রকাশের সময় : শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ০১:১২:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

বাঁশখালীর পুকুরিয়া ইউনিয়নের চন্দ্রপুর হাজী বসরত আলী জামে মসজিদ দখলের অপচেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে মুসল্লীরা।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ মিছিল থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কতিপয় ব্যক্তি কর্তৃক মসজিদটি দখলে নেয়ার অপচেষ্টার প্রতিবাদে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। মসজিদ দখলের অপচেষ্টার ঘটনার এলাকায় মুসল্লীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।

মুসল্লিরা জানান, বাঁশখালীর পুকুরিয়া ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামের হাজী বসরত আলী জামে মসজিদটি বিগত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে পুকুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কাদের ও তার লোকজন জবর দখল করে রেখে নামে বেনামে সরকারি বরাদ্দ নিয়ে মসজিদের টাকা আত্মসাৎ করেন। আওয়ামীলীগ নেতার ইন্দনে মসজিদের অর্থ লুটপাট করার পর সরকার পরিবর্তন হলে মসজিদের টাকা আত্মসাতকারী লোকজন আত্মগোপনে চলে যায়।

সেই থেকে মসজিদটি দাতা পরিবার ও ওয়রাশিগণের তত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে আসছিল। গত কয়েকদিন ধরে পলাতক সেই আওয়ামী লীগ নেতা কাদেরের নেতৃত্বে আবারো মসজিদটি জবর দখলের হুমকি দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে মুসল্লীদের মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

বিক্ষোভ মিছিলে অংশ গ্রহণকারী মুসল্লীরা জানান, পুকুরিয়া চন্দ্রপুর হাজী বসরত আলী জামে মসজিদটি যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণ ভাবে মসজিদের নামে ১৯২৯ সালে ওয়াকফ দলিল দাতাদের ওয়ারিশগণ মসজিদটি পরিচালনা করে আসছিল।

বিগত আওয়ামী সরকারের সময়ে দাতা ও ওয়ারিশগণকে জোরপূর্বক তাড়িয়ে দিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা মসজিদটি দখল করে নেন। তারা বিগত ১০ বছর ধরে মসজিদটি জবর দখলের মাধ্যমে নামে বেনামে সরকারি বেসরকারি বরাদ্দ নিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। মসজিদ নিয়ে রাজনীতি ও বাণিজ্য করলেও কেউ ভয়ে মূখ খুলতে পারেনি। মসজিদের অর্থ অত্মসাৎ ও নানা বিষয়ে প্রতিবাদ করায় দাতা সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি এবং নির্যাতন করার অভিযোগও রয়েছে আওয়ামী লীগের ওই নেতার বিরুদ্ধে। তাদের অত্যাচারে বহু মুসল্লী এই মসজিদ ছেড়ে বিভিন্ন এলাকার মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তেও বাধ্য হন।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের গণবিপ্লবে আওয়ামী সরকারের পতনের পর মসজিদ দখলকারী আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে এলাকাবাসী ও মুসল্লিদের পরামর্শে মসজিদটি সুন্দর ভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। এর মধ্যে গত ৮ নভেম্বর শুক্রবার সন্ত্রাসীরা রায়ছটা গ্রাম থেকে কিছু ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এনে একটি জীপগাড়ি নিয়ে চন্দ্রপুর হাজী বসরত আলী জামে মসজিদটি আবারও দখল করার অপচেষ্টা করে। খবর পেয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও মুসল্লীরা ধাওয়া করাতে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে মুসল্লিরা অবিলম্বে মসজিদ দখলের অপচেষ্টাকারী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।

 

বায়ান্ন/এসএ