ঢাকা, মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১লা আশ্বিন ১৪৩১

বাউফলে সচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় বরাদ্ধ বঞ্চিত দুই ইউপি সদস্য

বরিশাল ব্যুরোঃ | প্রকাশের সময় : বুধবার ১৬ নভেম্বর ২০২২ ০৪:৫৬:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

 

পটুয়াখালীর বাউফলে ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করায় সকল ধরনের দাপ্তরিক ও বরাদ্ধ বঞ্চিত আছেন দুই ইউপি সদস্য। এমন অভিযোগ উপজেলার কেশবপুর  ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন পিকুর বিরুদ্ধে। 
অভিযোগকারী ইউপি সদস্য আসাদুল হক জুয়েল এবং তাইমুর রহমান বাবুল বলেন, কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদ সচিব জাদব কুমার দত্ত পরিষদের জন্মনিবন্ধনে আতিরিক্ত অর্থ আদায় ও অফিসে অনুপস্থিতসহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে ৩১/০৮/২২ তারিখ লিখিত অভিযোগ করেন ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আসাদুল হক জুয়েল। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০/০৯/২২ তারিখ তদন্তে আসেন সহকারী কমিশনার (স্থানীয় সরকার পটুয়াখালী) নঈম উদ্দিন। ওই দিন নঈম উদ্দিনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন অপর ইউপি সদস্য (৬নং ওয়ার্ড) তাইমুর রহমান বাবুলহস মোট ১৯ জন। এতে ক্ষিপ্ত হন চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন পিকু। অভিযোগ দেয়ার অপরাধে ঘটনাস্থলেই লাঞ্চিত হন তাওসিফ ও আল আমিন নামের দুই ব্যক্তি। এর পর থেকে দুই সদস্য জুয়েল ও বাবুল ইউনিয়ন পরিষদের সকল কর্মকান্ড থেকে বঞ্চিত রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তারা। 
২০২২-২৩ অর্থ বছরের অতিদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের  কর্মসংস্থান কর্মসূচী (১ম পর্যায়) প্রজেক্টে মোট ১৩জন সদস্যের মধ্যে ওই দুই সদস্যকে বাদ দিয়ে ১১জনের নামে বরাদ্ধ দেয়া হয়। এতে বঞ্চিত হন অভিযোগকারী ২ সদস্য । একই অর্থ বছরের গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণা-বেক্ষণ (টিআর নগদ অর্থ) প্রকল্পের আওতায় ৩ লাখ টাকার বরাদ্ধ থেকে বঞ্চিত হন তারা। এছাড়া ইউনিয়নের ৪০দিনের কর্মসূচীর ১ম বরাদ্ধ দেয়া হয় ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারীসহ মোট ৪ সদস্যকে, ২য় বরাদ্ধ দেয়া হয় ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের ৪ সদস্যকে। একই বরাদ্ধ চলতি বছর ৫, ৬, ৭ নং ওয়ার্ডের ৪ সদস্যের পাওয়ার কথা কিন্তু সে বরাদ্ধ দুই ইউপি সদস্য জুয়েল ও বাবুলকে বাদ দিয়ে বাকি দুইজনকে দেয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে ২২-২৩ অর্থবছরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংষ্কার (কাবিখা, কাবিটা) ১ম পর্যায়ের বরাদ্ধের ৪লাখ ৩৯ হাজার টাকা, অপর বরাদ্ধের ৩টন গম, ৩টন চাল এবং এলজিএসপির বরাদ্ধের ৮টি টিউবওয়েলসহ সকল কাজ ১৩জন সদস্যের মধ্যে থেকে ১১জন সদস্যেকে ভাগ করে দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় ইউনিয়ন পরিষদের সকল কর্মকান্ড থেকে বঞ্চিত রয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।
অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন পিকু  বলেন,  ‘জুয়েল একটা বেয়াদব। একজন চেয়াম্যান চাইলে যেকোন বরাদ্ধ যে কাউকে দিতে পারে। আমি ৪০দিনের কর্মসূচী ব্যতিত সকল বরাদ্ধ তাকে দিয়েছি। আগামীতে ওই বরাদ্ধেও তাকে সংযুক্ত করা হবে।’
এব্যপারে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার (স্থানীয় সরকার পটুয়াখালী) নঈম উদ্দিন বলেন, ওই ঘটনায় আমি তদন্তে গিয়েছিলাম। এবং তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দিয়েছি আরও আগে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন সদস্যরা তাদের কর্মকান্ডে বঞ্চিত হলে জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর লিখিত অভিযোগ জানাতে পারেন।