ঢাকা, রবিবার ১৯ মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বৃষ্টি হলে কুষ্টিয়া পৌর-বাজারের রাস্তাটি কাঁদায় হাটার অনুপযোগী ভোগান্তিতে ক্রেতা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৫:৪৫:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

কুষ্টিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কুষ্টিয়া পৌর বাজার। এটি কুষ্টিয়া পৌরসভার সবথেকে বড় বাঁচাবাজার। কুষ্টিয়া শহরের ২ নং, ৪ নং এছাড়াও ১,৩ নং ওয়ার্ডের একাংশ মানুষের একমাত্র কাঁচামাল ক্রয়ের বাজার। এছাড়াও শহরতলীর হাজার খানেক মানুষ প্রতিদিন এই বাজারে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা করেন।

গুরুত্বপূর্ণ এই বাজারে দিনদিন ক্রেতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বছর বছর ইজারার টাকা বৃদ্ধি পাচ্ছে, দ্রব্যমূল্যের দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে তবে ক্রেতাদের সুবিধার জন্য বৃদ্ধি পাচ্ছেনা সুযোগ সুবিধা।

একটু বৃষ্টি হলে বাজারের প্রধান রাস্তাসহ ভেতরের অলিগলিতে কাঁদা-পানি জমে যায়। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় এ অঞ্চলের কাঁচাবাজার  করতে আসা সাধারন মানুষের। কাচামালের গলিতে পাইকারী দোকান (পাকা দোকান) 'র সামনে খুচরা বিক্রেতারা তাদের দ্রব্যের পসরা সাজিয়ে পায়ে চলাচলের রাস্তাটি সংকীর্ণ করে ফেলেছে।

একটু বৃষ্টি হলে চায়ে হাঁটার রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। চরম ভোগান্তিতে পড়ে  মানুষ বিশেষ করে মহিলা ও একটু বয়স্ক ব্যক্তি বেশী ভোগান্তিতে পড়ে। বাজার করতে আসা শহরের ২ নং ওয়ার্ড থানাপাড়ার বানিন্দা মোঃ আতিয়ার রহমান জানান, একদিকে দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতিতে নাভিশ্বাস এর উপর বৃষ্টি কাঁদাতে চলাচলের অনুপযুক্ত এই রাস্তাতি বিরক্তিকর।

বাজারটি পৌরসভার, তারা ইচ্ছে করলে রাস্তাটি পাকা করে দিতে পারে। বাজারের ব্যবসায়ী সাদেক জানান, বৃষ্টি হলে পানি কাদাতে মানুষ চলতে অনুবিধা হয়। যে জন্য খুব বেশী দরকার না হলে মানুষ বাজারে আসেনা। আরেক ব্যবসায়ী মনির জানান, বৃষ্টিতে কাদা তৈরী হয়ে হাটার মত পরিস্থিতি থাকে না, যার কারনে মানুষের উপস্থিতি কমে যায়, বেঁচা বিক্রিও কমে যায়।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর খন্দকার মাজেদুর রহমান ধীমান জানান, রাস্তাটি পাকা ছিলো কিন্তু কতিপয় ব্যবসায়ী রাস্তাটি যত্রতত্র ব্যবহার করে নষ্ট করে ফেলে, এরপর তারা ময়লামাটি দিয়ে উঁচু করায় জলবদ্ধতা ও কাঁদার সৃষ্টি হয়। কুষ্টিয়া পৌরসভা বর্তমান নির্বাহী পরিষদের মেয়াদ কালের মধ্যেই বাজারকে সংস্কার করে নতুন মার্কেট ভবন তৈরী করবে। এরজন্য বর্তমানে রাস্তাটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। দ্রুত মার্কেট সংস্কারের কাজ শুরু হবে

পরিবেশবীদ মাহফুজ উর রহমান জানান, বাজারটি প্রতিবছ লক্ষ  লক্ষ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়। বিশাল অংকের টাকার বিনিময়ে ইজারা দেওয়া পৌর বাজারে নেই স্বাস্থ্য সম্মত পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা, রেল লাইনের উপর ঝুকি নিয়ে কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ী বসেন, চলাচলের পশ্চিম পাশের রাস্তার উপর অস্থায়ী ছোট ছোট কিছু দোকান, রিক্সার লাইন, নেই কোন ডাষ্টবিন খোলা জায়গায় মসজিদ ও প্রাইমারী স্কুলের সামনে ময়লা ফেলার স্থান, বাজারটি পরিস্কারের কোন বালাই নেই। একটু বৃষ্টি হলে পূর্ব দিকের রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। ইজারার টাকা দিয়েই পৌরসভা রাস্তাগুলো নির্মানকরে দিতে পারে।