বেনাপোলে পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাজিয়া সুলতানা রানী (৩২) নামের এক গৃহবধুর মৃত্যু নিয়ে ধ্রুমজাল সৃষ্টি হয়েছে। স্বামী গৃহ হতে রানী আত্মহত্যা করেছে বললেও অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্বজনসহ প্রতিবেশীরা।
নিহত রানী বাহাদুরপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার লুৎফর রহমানের (বর্তমান দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা) বড় কন্যা ও বেনাপোল কলেজ রোডের ব্যবসায়ী গোলাম মোর্তাজা সোহাগের স্ত্রী।
বর্তমান সোহাগ পলাতক রয়েছে। দুই সন্তানের জননী রানি দাম্পত্য জীবনে মনমালিন্যের জেরে
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাত ২টার দিকে বেনাপোল গ্রামে তার স্বামীগৃহে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার এস আই পবিত্র গৃহবধুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,পারিবারিক ভাবে নিহতের চাচা থানায় খবর দেওয়ার ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বাড়িটি তালাবদ্ধ থাকায় সুরাতহাল রিপোর্ট করা যাইনী। রাতেই মরাদেহ যশোর কোতয়ালী থানাধীন ক্লিনিকে নেওয়ায় কোতয়ালী থানা পুলিশ লাশের সুরাতহাল রিপোর্ট ও পোস্টমর্টেম সম্পন্ন শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।
তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বোঝা যাবে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা। এ ঘটনায় বেনাপোল পোর্টথানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ হতে থানায় কোন লিখত অভিযোগ করেনী বলে তিনি জানান।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, বৃহষ্পতিবার রানী তার ছোট বোনের বিবাহ জনীত কারনে স্বামী সন্তানসহ পিতৃালয়ে অবস্থান করছিলো। রাত ১২টার পর বাবার বাড়ি হতে শশুরালয়ে যায় রানী ও তার স্বামী সন্তানেরা। স্বামী গৃহে ফিরে সোহাগের সাথে বিবাদে জড়ায় রানী। এক পর্যায়ে দোতালার একটি ঘরে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সোহাগ চিকিৎসার জন্য যশোরের ক্লিনিকে ভর্তি করেন।
ভোর সকালে প্রতিবেশীরা বাড়িতে ঢুকে কাউকে পায়নি। গোপন তথ্য মতে জানা যায়, তার স্বামী সোহাগ দীর্ঘ বছর যাবৎ বেকার সংসারে বিভিন্ন কারনে রানির সাথে ঝামেলা চলছিলো। রানি আত্মহত্যা করার মত মেয়ে না তার স্বামী সোহাগ তাকে হত্যা করেছে বলে অনেকে বলা বলি করেছেন ।