ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে শালিসি সভায় বাকবিতণ্ডার জেরে বল্লামাঘাতে খুন হন শাহ আলম। রোববার (১৭ জুলাই) সকালে ঢাকা মেডিক্যালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এর আগে শনিবার রাতে তিনি বল্লমের আঘাতে গুরুতর আহত হন। নিহত শাহ আলম (৩৫) উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের মেরাতলী গ্রামের মৃত মালেক সরদারের ছেলে। ঘটনার সাথে জড়িতের দায়ে পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।
নিহতের পরিবার, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার স্থানীয় মেরাতলী গ্রামের জাহের মিয়ার ছেলে বাহার মিয়া এবং সফর মিয়ার ছেলে আরাফাতের মধ্যে ঝগড়া হয়। বিষয়টি মিমাংসা করতে শনিবার রাতে এলাকার জাহের মিয়ার বাড়ির উঠানে শালিসি সভা আহবান করা হয়। আহুত সভায় আবদুল হামিদের ছেলে জিয়া উপস্থিত না হবার কারণ জানতে চান সভায় উপস্থিত শাহ আলম। এই নিয়ে সফর মিয়া, সাঈদুল, ছুট্টু মিয়া এবং আরাফাতের সাথে শাহ আলমের বাকবিতণ্ডা হয়। এরই একপর্যায়ে তারা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ শাহ আলমের উপর হামলা চালায়। এসময় তার একটি চোখে বল্লমের আঘাত লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে জেলা শহরের নিউ ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তবে অবস্থার আরো অবনতি হলে মধ্যরাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই শাহ আলম মারা যায়। শাহ আলমের মৃত্যুর খবর এলাকায় চাউর হবার পর উভয় পক্ষের লোকদের মাঝে চাপা উত্তেজনা ছড়ায়। এদিকে সালিশী সভায় বল্লম দিয়ে একজনকে আঘাত করার খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে আবদুল হামিদ (৬৫) ও তার পুত্রবধূ (জিয়ার স্ত্রী) কুলসুম বেগম (২৮) নামের দুইজনকে আটক করেছে। নিহতের পরিবারের পক্ষে চলছে হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া।
নবীনগর থানার পরিদর্শক (ওসি) আমিনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এই ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।'