লাইসেন্স না থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুইটি হাসপাতালকে সিলগালা করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। হাসপাতাল দু'টি হচ্ছে 'আলিফ' ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং 'লিবার্টি' হাসপাতাল এণ্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার'। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) স্বাস্থ্য বিভাগ জেলা প্রশাসনের সহায়তায় 'লাইসেন্সবিহীন' বিভিন্ন ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে সিলগালা করাসহ বেশ কয়কটিকে এক সপ্তাহের জন্য বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের যত্রতত্র গড়ে ওঠেছে বিভিন্ন নামের ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতাল। এসবে প্রতিনিয়তই প্রতারিত ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন চিকিৎসা সেবা গ্রহীতারা। যথাযথ নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে কেবল অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্র হিসেবেই ব্যবহার হচ্ছে এসব ক্লিনিক-হাসপাতাল। জেলা শহরের পুরাতন জেল রোড ও আশপাশ এলাকাটি 'হাসপাতাল পল্লী' হিসেবেও মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠছে। এই নিয়ে সচেতন মহল থেকে একেবারে সাধারণ মানুষেরও অভিযোগের শেষ নেই। এসব প্রেক্ষিতেই সম্প্রতি টনক নড়ে ওঠে স্বাস্থ্য বিভাগের। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের সহায়তায় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজ কুমার বিশ্বাস ও মেডিক্যাল অফিসার আশরাফুর রহমান হিমেল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের সমন্বয়ে 'লাইসেন্সবিহীন' ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে পরিচালিত ক্লিনিক-হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় স্বাস্থ্য বিভাগ। অভিযান চলাকালে 'লাইসেন্স' না থাকায় জেলা শহরের কুমারশীল মোড়ের 'আলিফ' ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং খৈয়াসার এলাকার 'লিবার্টি' হাসপাতাল এণ্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের দু'টি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়। এর পাশাপাশি বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে এক সপ্তাহের জন্য বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
লাইসেন্সবিহীন' ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে পরিচালিত ক্লিনিক-হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযানের নেতৃত্ব প্রদানকারী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাখাওয়াত হোসেন বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,'স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিবন্ধন না থাকায় দুটি বেসরকারি হাসপাতালকে সিলগালা করা হয়েছে। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।