ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫৬ দিনের মাথায় ১৫ মামলার আসামীকে দণ্ডাদেশ

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : | প্রকাশের সময় : রবিবার ৭ অগাস্ট ২০২২ ০৭:২৪:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের ১৫ মামলায় অভিযুক্ত জুয়েল মিয়া ছিলেন ফেরার। এলিট ফোর্স র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার, পদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে তার বাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হয় অস্ত্র-মাদক। এই ঘটনায় রজুকৃত মামলা ১৪ দিনে চার্জশীট দাখিল এবং ৫৬ দিনের মাথায় জুয়েলকে চার বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত।

রোববার (০৭ আগস্ট) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মূখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. মাসুদ পারভেজ অভিযুক্তকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায় আরও দুই মাসের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত জুয়েল মিয়া (৩০) জেলার কসবা উপজেলার উত্তর চকবস্তা গ্রামের মৃত আবুল বাশারের ছেলে। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ১৫টি মামলার আসামী কসবার উত্তর চকবস্তা গ্রামের জুয়েল মিয়া। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকায় পুলিশী গ্রেপ্তার এড়াতে ফেরার ছিলেন জুয়েল। চলতি বছরের গত ১১ জুন কুমিল্লার কান্দিরপাড় থেকে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) সদস্যরা জুয়েলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারের পর র‍্যাব সদস্যরা তাকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় জুয়েলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বাড়ি থেকে দুই রাউন্ড গুলিসহ একটি রিভলবার এবং ৬০০পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। এই ঘটনায় পরদিন ১২ জুন র‍্যাবের এসআই আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব বর্তায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখায়। মাত্র ১৪ দিনের মাথায় গত ২৬ জুন ডিবি পুলিশ আদালতে মামলাটির অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করেন। ৫৬ দিনের মাথায় ৭ আগস্ট রোববার আদালত মাদকের মামলায় অভিযুক্ত জুয়েল মিয়াকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবংদুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। মামলা দায়েরের মাত্র ৫৬ দিনে সকল প্রক্রিয়া শেষে আদালত দ্রুততম সময়ে এই রায় প্রদান করলেও এই মামলার (অস্ত্র উদ্ধার অংশ) জেলা ও দায়রা জজ আদালতে চলমান রয়েছে। 

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্তীয় আইনজীবী বশির আহমেদ বলেন, 'আদালত দ্রুততম সময়ে বিচার কাজ শেষ করে এই রায় দিয়েছেন। আমরা রায়ে সন্তুষ্ট। সন্দেহাতীতভাবে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত সর্বোচ্চ রায় প্রদান করেছেন।' অপরদিকে আসামী পক্ষে নিযুক্তিয় আইনজীবী আনোয়ার হোসেন বলেন, 'মামলায় অনেক ফাঁকফোঁকর রয়েছে। রাষ্ট্র পক্ষ অপরাধ প্রমাণ করতে পারেনি। আমরা এই রায়ে সংক্ষুব্ধ। তাই ন্যায় বিচার পেতে উচ্চ আদালতে আপীল করবো।'