খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী বলেন, আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে উগ্রবাদীদের হামলার সুযোগ করে দিয়ে ভারত ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে। বাংলাদেশ মিশনে হামলার মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত হেনেছে।
তিনি আরও বলেন, এ হামলার জন্য ভারতকে নি:শর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। হামলার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশের জনগণ এর দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিবে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে এসব কথা বলেন মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী। আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে ভারতীয় উগ্রবাদীদের হামলার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভের আয়োজন করে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ।
খেলাফত মজলিসের এই নেতা বলেন, নরেন্দ্র মোদি পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার ষড়যন্ত্র ও ভারতের আধিপত্যবাদী আগ্রাসন মোকাবেলায় বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। ভারতের আগ্রাসন মোকাবেলায় বাংলাদেশের মানুষ জীবন দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম-মহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, ইসলামী যুব মজলিসের সভাপতি তাওহিদুল ইসলাম তুহিন, কেন্দ্রীয় সহ-আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শায়খুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র মজলিসের সেক্রেটারী জেনারেল কে এম ইমরান হুসাইন, শ্রমিক মজলিসের সহ-সাধারণ সম্পাদক এইচ এম এরশাদ, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, মাওলানা ফরিদ আহমদ হেলালী, মাওলানা শরীফুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
সমাবেশ শেষে বিক্ষুব্ধ জনতার এক বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় ঘুরে পুরানা পল্টন মসজিদ সংলগ্ন বিজয়নগর সড়কে এসে শেষ হয়।
বায়ান্ন/এসএ/পিএ