লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জে এজাহারভুক্ত আসামি মো. বেলাল হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়েছে স্থানীয়রা। বুধবার রাত ৮টার দিকে শরীফপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আহতরা হলেন- সদর থানার উপপরিদর্শক ছাদেকুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির, সহকারী উপপরিদর্শক মো. ফরহাদ হোসেন, কনস্টেবল ইকবাল হোসেনসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে আহত পুলিশ কর্মকর্তা ছাদেকুল ইসলাম বাদী হয়ে ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন খালেদসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সুলতান আহমদের ছেলে নুর ইসলাম বাদী হয়ে ২৬ নভেম্বর সদর থানায় পারিবারিক বিরোধে মারামারির ঘটনায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় একই ইউনিয়নর ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বেলাল হোসেনকে প্রধান করে ৯ জনকে আসামি করা হয়। উক্ত আসামি বেলাল হোসেন ভবানীগঞ্জের শরীফপুর এলাকার আছিয়ার মার্কেটের নিজাম উদ্দিনের ফার্মেসিতে অবস্থান করছিলেন।
এ খবর পেয়ে সদর থানার উপপরিদর্শক ছাদেকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে ধরতে অভিযানে যায়। এ সময় বেলাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপি নেতা সাইফুদ্দিন খালেদের নেতৃত্বে ৭০–৮০ জন লোক জড়ো হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা বেলাল হোসেনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশের তিন কর্মকর্তাসহ পাঁচজন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নিয়ে যাওয়া হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল মোন্নাফ বলেন, পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাঁধা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে