ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় একটি কেন্দ্রে ভোটারের জন্যে করা হয়েছে মাইকিং। উপজেলার মোগড়া দক্ষিণ জামে মসজিদ থেকে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কেন্দ্রে এসে ভোট দেয়ার জন্যে মাইকিং করা হয়। ওই সময়ে কেন্দ্রটিতে প্রায় ২০০ ভোট গ্রহণ করা হয়।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুইটি উপজেলা কসবা ও আখাউড়ায় নিরুত্তাপ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দুই উপজেলার কোথাও নির্বাচনের তেমন কোনোরূপ আমেজ লক্ষ্য করা যায়নি। এদিকে কসবা উপজেলার শিমরাইল, আকছিনা, শাহপুর, মান্দারপুর কেন্দ্রে ভোটে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন।
আখাউড়ার প্রায় সব কেন্দ্রে ভোটারের কোনো সারি দেখা যায়নি। ২/১ জন করে এসে ভোট দিয়ে চলে যান। ফলে ভোটকেন্দ্রগুলো ছিলো প্রায় ফাঁকা। এদিকে অনেক কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। সকাল সাড়ে ৯ টায় উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের নূরপুর-রুটি আবদুল হক ভুইয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ফাকা ভোটের সারি লক্ষ্য করা যায়। ২/১ জন করে ভোটার আসছেন। তবে মহিলা ভোটার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। চার হাজার ৮৬১ ভোটারের এই কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত ভোট গৃহিত হয় মাত্র ২৭৬ টি। এর মধ্যে মহিলাদের ৬টি বুথে ভোট পড়ে ৪৮টি। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে ৪ নম্বর বুথে, মাত্র তিনটি। ৩ নম্বর বুথে ৫ টি। এদিকে পুরুষ ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নূরপুর গ্রামের আবুল হাসেম ৭ নম্বর বুথে ভোট দিতে এলে জানানো হয় তার ভোট দেয়া গেছে। বুথের পোলিং অফিসার সাবিকুন্নাহারের দাবী, হাসেম ভোট দিয়েছেন। কিন্তু হাসেমের হাতে ভোট প্রদানের কোনো চিহ্ন নেই। সাবিকুন্নাহারের সাথে সুর মিলান আনারস প্রতীক প্রার্থীর এজেন্ট সালমান হোসেন ভূইয়া। তবে এর প্রতিবাদ করেন ঘােড়া প্রতীক প্রার্থীর এজেন্ট আনোয়ার হোসেন। ওই কেন্দ্রেই দেখা মিলে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন ভূইয়ার। তিনি জানান, ভোট ভালোই চলছে। তবে কেন্দ্রে প্রবেশের প্রধান গেইটে মানু্ষের জটলা দেখা যায়।
নূরপুর-রুটি আবদুল হক ভুইয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সালেহ আহমেদ জানান, 'ভোটার কেন আসছেনা সেটি বলতে পারবো না। ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব বলে গেছেন এদিকে যাতে কোনো লোক না থাকে। লাল পতাকা দেয়া আছে।