যশোরের মনিরামপুরে মমতাজ খাতুন (২৪) নামের এক নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে গৃৃহবধূর স্বামী ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করেন। মমতাজ খাতুন উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রামের শিমুল হোসেনের স্ত্রী। স্থানীয় বাজারে শিমুলের চা দোকান রয়েছে। মমতাজ খাতুন আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গৃহবধূর স্বজন ও এলাকাবাসী জানান- আট বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন মমতাজ ও শিমুল। তাদের চার বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। এরমধ্যে গ্রামে অন্য মেয়ের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন শিমুল। বিষয়টি নিয়ে ওই দম্পতির মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। একপর্যায়ে শিমুল ওই মেয়ের সাথে কথা বলবেন না বলে স্ত্রীর কাছে প্রতিজ্ঞা করেন। এরমধ্যে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন মমতাজ। ঝাঁপা ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জিত কুমার বলেন- গত বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরেন শিমুল হোসেন। রাতের খাবার শেষে মেয়েকে নিয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। এরমধ্যে শিমুলের মোবাইল ফোন ঘাটাঘাটি করেন মমতাজ খাতুন। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে শিশু মেয়েটি ঘুম থেকে জেগে মাকে আড়ার সাথে ঝুলতে দেখে তার বাবাকে ডেকে তোলে। পরে শিমুল ওড়না দিয়ে গলা পেঁচানো অবস্থায় স্ত্রীর লাশ নিচে নামান। এসআই সঞ্জিত বলেন- স্বজনদের দাবি তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব নেই। কোন কারণ ছাড়া আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী আত্মহত্যা করতে পারেন না। ময়নাতদন্তের জন্য আমরা লাশ মর্গে পাঠাচ্ছি।