মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিন রাজঘাট ব্রীজের পূর্ব পাশের বৈদ্যুতিক খুটি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় এক কিশোরের(১৫) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এটিকে দূর্ঘটনা হিসেবে মানতে নারাজ স্থানীয় জনসাধারণ। তারা বলছে- এটি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজনের একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সকালে স্থানীয়রা ঐ বৈদ্যুতিক খুটিতে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি দেখতে পেয়ে
মহেশখালী থানা এবং ফায়ার সার্ভিসকে অবগত করলে, ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
মৃত রেজাউল করিম (১৫) ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজঘাট এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী স্থানীয় বাসিন্দা রমিজ উদ্দিনের পুত্র বলে জানা গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ- দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার পূর্বপাশের দূর্ঘটনাস্থ বৈদ্যুতিক খুটিদ্বয়ে বিদ্যুতের সংযোগ ছিলনা। কেননা রাস্তার পাশে বিদ্যুতের নতুন খুটি স্থাপনের মাধ্যমে মাতারবাড়িতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করে আসছিলো মহেশখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। ইতিপূর্বে পুরোনো এবং অব্যবহার্য খুটিদ্বয় হতে তার চুরির ঘটনা ঘটলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন কোনো প্রয়োজন না থাকা সত্বেও ইচ্ছেকৃত ভাবে পশ্চিম পাশের খুটি হতে পূর্বপাশের নিষ্ক্রিয় খুটিদ্বয়ে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়ে রাখে। যাতে করে কেউ তার চুরির উদ্দেশ্যে খুটিতে উঠলেই আটকা পড়ে মারা যায়। বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন এমন নৃশংস কাজ না করে নিষ্ক্রিয় খুটি হতে অপ্রয়োজনীয় তারগুলো খুলে নিতে পারতেন।
লোমহর্ষক বিষয়টি স্বীকার করে মহেশখালী পল্লী বাদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মোঃ আল আমিন জানান, বৈদ্যুতিক তার চুরি করতে গিয়ে কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পূর্ব পাশের খুটিদ্বয়ের প্রয়োজনীয়তা না থাকলেও সেখানকার তার চুরি বন্ধ করতে তথা তারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই পশ্চিপাশের সক্রিয় খুটি হতে আমরা সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছিলাম।
পরোক্ষ এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জড়িত লোকজনের উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানান নিহতের পরিবার এবং স্বজনেরা।