ঢাকা, রবিবার ১৯ মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

মিরসরাইয়ে ছড়ার আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ কয়েক হাজার মানুষ

জুয়েল নাগ, মিরসরাই: | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২৩ অগাস্ট ২০২২ ০২:২৩:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ - মুহুরী প্রজেক্ট রোডে বারমাসি ছড়ার ময়লার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ কয়েকটি গ্রামের জনসাধারণ। নাকে রুমাল দিয়ে ওই পথ দিয়ে চলাচল করে এলাকার বাসিন্দারা। আশেপাশের বাড়ীর লোকেরা ছড়ায় ময়লা আবর্জনা ফেলায় এ দূ্রদষা সবার।

 

  উপজেলার জোরারগঞ্জ বাজারের  রাস্তাটি নাম প্রজেক্ট রোড এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে দেওয়ানপুর, নন্দনপুর, ভগবতি পুর, গোবিন্দপুর সহ ভিতরে কয়েকটি গ্রামের জনসাধারণ। জোরারগঞ্জ বাজারে বাজার করতে আসে হাজার হাজার মানুষ। এছাড়াও জে বি স্কুল, জোরারগঞ্জ আদর্শ স্কুল, জোরারগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, জোরারগঞ্জ আইডিয়াল একাডেমী সহ দুটি মাদ্রাসার অনেক ছাত্রছাত্রীরা এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। রাস্তার পাশে রয়েছে একটি বারমাসি ছড়া। ছড়ার আশপাশে রয়েছে বড় বড় কয়েকটি আবাসিক ভবন। বেশিরভাগ আবাসিক ভবনের আবর্জনা ফেলার ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক নির্দিষ্ট কোন জায়গা না থাকায় আবাসিক ভবনে বসবাসরত মালিক ও ভাড়াটিয়ার ছড়ার মধ্যে ময়লা ফেলে পরিবেশ দূষিত করছে। 

 ফলে কয়েকটি গ্রামের মানুষ এবং স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা এই ছরার পাশের রাস্তা দিয়ে চলাচল করায় প্রতিনিয়ত দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে যায়। এতে তারা শ্বাসকষ্ট সহ নানান চর্ম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

 

 প্রজেক্ট রোডের সরেজমিনে গেলে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য ছড়ায় ভাসছে। এই ছড়ায় বাজারে জবাই করার পশুর বর্জ্য সহ অনেকে ময়লা ফেলায় অতিরিক্ত মাত্রায় দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। ওই এলাকায় বেশ  কয়েকটি বড় বাড়ি আছে।  একটি কমিউনিটি সেন্টার থাকায় বিভিন্ন সময় বিয়ে মেজবান অনুষ্ঠানের পর সকল আবর্জনা ছড়ার মধ্যে ফেলার অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। ছড়াতে ভাসছে বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক বর্জ্য বোতলসহ পরিবেশ বিপর্যয় করে এমন দ্রব্যাদি।

 

ওই পথ দিয়ে চলাচলকারী নন্দনপুর গ্রামের বাসিন্দা আমিনুর রহমান চৌধুরী মামুন   জানান আমাদের এলাকা থেকে বাজার কাছে হওয়ায় এ রাস্তা দিয়ে হেটে যেতে হয়। তাই প্রতিদিন নাকে রুমাল দিয়ে হাঁটি। রাস্তার পাশে ছড়ার  আবর্জনায় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়। এদেরকে অনেকবার ময়লা না ফেলার কথা বলা হয়েছে কিন্তু কারো কথা শোনে না। যারা এ ময়লা আবর্জনা ফেলে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা উচিত।

 

গোবিন্দপুর গ্রামের সঞ্জয় কুমার দে বলেন হেঁটে যাওয়া তো অনেক কষ্ট দুর্গন্ধ সহ্য হয় না, সিএনজি অটোরিকশা করে গেলেও  দুর্গন্ধ সহ্য করতে হয়। আমার ছোট ছেলেটি যে স্কুলে পড়ে তাকে প্রতিদিন এ পথ দিয়ে। আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা তৈরি করা উচিত।

যত্রতত্র ভাবে ময়লা ফেলে পরিবেশ দূষণের বিষয়ে জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মাস্টার জানান এ বিষয়ে অনেকে আমাকে অভিযোগ দিয়েছে ইতিমধ্যে এটা নিয়ে আমরা বিকল্প কিছু করার কথা ভাবছি। আমরা বারোমাসি ছড়ার আশেপাশে যে ভবন মালিকদেরকে চিঠি দিব এবং ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য আমরা জায়গা খুঁজছি। ছড়ার পরিবেশ দূষণ হলে এটা সবারই ক্ষতি, এটার ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।