চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার প্রতিটি একালায় চোখ ওঠা রোগ অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে শিশু থেকে শুরু করে কিশোর,বৃদ্ধরাও আতঙ্কে দিন পার করছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে ডেঙ্গু রোগী সংখ্যা বেড়েছে। নতুন করে যোগ হয়েছে চোখ ওঠা রোগ" । উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন করোনা কালীন সময়ে আমরা যেভাবে বারবার হাত ধোয়া থেকে শুরু করে জীবাণুনাশক ব্যবহার করেছি। সচেতন হলেই এই রোগের থেকে মুক্তির উপায়।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরকারি হাসপাতাল এবং বেসরকারি ক্লিনিক সরেজমিনে দেখা যায়, চোখ ওঠা রোগী হাসপাতাল জুড়ে চোখে পড়ার মতো ছিল, কেউ পরামর্শ নিয়ে চলে যাচ্ছেন, কেউবা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। প্রতিদিন ৮-১০জন চোখ ওঠা রোগী হাসপাতালে আসছেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা গেছে---গত আগস্ট মাসে এবং চলতি মাসে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে।
সেপ্টেম্বর মাসের ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৫জনে দাঁড়িয়েছে । ডেঙ্গু কিছুটা কমলেও কিন্তু,বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে চোখ ওঠার রোগীর সংখ্যা। এই মুহূর্তে সচেতনতা খুব প্রয়োজন বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেব প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন---আপনারা হয়তো জানেন গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে যোগ হয়েছে"চোখ ওঠার রোগ'এটি প্রতিবছরই একটা নির্দিষ্ট সময়ে হয়ে থাকে কিন্তু এই বছর এই রোগের এ রোগের সংখ্যা বেড়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ কিছুটা সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।
শিশু বিশেষজ্ঞ ডা.এম এ মোরশেদ বলেন--চোখ ওঠা রোগ বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের হয়ে থাকে। এই রোগটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে রোগ।শিশুদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে।