শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে সদস্যদের দ্বন্দ্ব এখন চরমে। চেয়ারম্যানের অভিযোগ, সদস্যদের অনিয়ম করার সুযোগ না দেয়ায় তারা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে হয়রানী করছে। অপরদিকে, চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন সদস্যরা। তাদের চলমান দ্বন্দ্বের কারণে প্রায় একমাস যাবত ব্যাহত হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম।
অভিযোগে প্রকাশ, কয়েক মাস যাবত রানীশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন, ভিজিডি ও ভিজিএফসহ বিভিন্ন ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সোহাগ এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করা নিয়ে কয়েকজন ইউপি সদস্যের সাথে তার বাকবিতন্ডা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সোহাগ বলেন, কন্টিপাড়া হতে রানীশিমুলের তারা মেম্বারের বাড়ির কাচা সড়কে মাটি ভরাটের জন্য টিআর এর বরাদ্দ হয় ১ লাখ ২৪ হাজার টাকা। ওই প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য মোস্তাক মিয়া। তিনি প্রকল্পের কাজ করার কথা বলে আমার কাছে স্বাক্ষর নেয়। পরে কাজ না করেই টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। শুধু তাই নয় তার সাথে থাকা কয়েকজন ইউপি সদস্য প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করছে। এছাড়া ভিজিডি ও ভিজিএফের চাল বিতরণের সময় দুস্থ্য অসহায়দের মাঝে বিতরণ না করে নিজেরাই সুবিধা নিতে চায়। তাদের এসব কাজে বাঁধা দেয়ায় তারা আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে হয়রানী করে আসছে।
তবে সরেজমিন গেলে প্রকল্প এলাকার অনেকে জানান, নাম মাত্র কাজ করে তারা বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। ফলে কাঙ্খিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে কথা হয় স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রউফের সাথে। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান নানা কাজে আমাদের বঞ্চিত করে আসছেন। এ জন্য আমরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিচারের দাবি করছি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের সহকারি প্রকৌশলী সুব্রত কুমার দাস এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।