ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রায়পুরা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

নরসিংদী প্রতিনিধি: | প্রকাশের সময় : বুধবার ৬ এপ্রিল ২০২২ ১১:২৯:০০ পূর্বাহ্ন | দেশের খবর

নরসিংদীর রায়পুরা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মো. হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবীতে মঙ্গলবার দুপুরে কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ করেছে সুবিদাবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা।

 

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বৃহত্তর উপজেলার একমাত্র সরকারী কলেজ এটি। গত ২০১৮ সালে ১২ আগষ্ট কলেজটি সরকারী করনের গেজেট প্রকাশ হয়। সরকারী করনের প্রায় ৪বছর পেরিয়ে গেলেও আজো সরকারী কোন সুযোগ সুবিদা পাচ্ছে না শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকচারীরা। কলেজটিতে এইচএসসি, অনার্স ও ডিগ্রী মিলিয়ে প্রায় ৩হাজার ৫শ শিক্ষার্থী রয়েছে। সম্প্রতি ইউনিক আইডি কার্ডের নামে সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১শত ৫০টাকা করে আদায়, অনার্স ১ম বর্ষে ভর্তি ফি বাবদও নিচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ এমন সব অভিযোগ এনে আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় ক্লাস বর্জন করে মঙ্গলবার দুপুরে কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।

 

বিক্ষোব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, ইউনিক আইডি কার্ডের নামে ১শত ৫০ টাকা আদায়, উপবৃত্তি তালিকা বাছাইয়ে স্বজন প্রীতি, অনার্স ১ম বর্ষে ভর্তি ফি বাবদ অতিরিক্তি অর্থ আদায় করছেন প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও সরকারী কলেজ হওয়া স্বত্তেও ক্লাসে অনুপস্থিত হলে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে গুনতে হয় ৩০টাকা করে। এই টাকাগুলো আত্মসাৎ করছে কর্তৃপক্ষ। এমতবস্থায় সুবিদা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সুবিদা প্রাপ্তি নিশ্চিত করণ এবং অধ্যক্ষের বদলী দাবী জানান তারা।

 

অনার্স রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান তুষার বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ ইউনিক আইডি’র নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দেড় থেকে দুইশত টাকা করে আদায় করে। উপবৃত্তির প্রাপ্তির আবেদন কারীদের বাছাই তালিকা করনে হতদরিদ্রদের বঞ্চিত করে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে তালিকা করণ এবং অনার্স ১ম বর্ষে ভর্তি ফি বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায় সহ বিভিন্ন অনিয়ম করে যাচ্ছেন। এতে সুবিদা বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীগণ।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এইচএসসি ১ম বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, আমরা প্রকৃতপক্ষেই গরীব ও অসহায়েও উপবৃত্তির প্রাপ্তির তালিকা থেকে বঞ্চিত হয়েছি।

 

এ ব্যাপারে রায়পুরা সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হুমায়ুন কবির বলেন, শিক্ষার্থীদের সব অভিযোগ সত্যি নয়। তবে, ইউনিক আইডি’র বেলায় কিছুটা সত্য রয়েছে, শুরুতে কিছু শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১শ বা দেড়শত টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। আমরা প্রথমে জানতাম না এ বাবদ কোন টাকা নেওয়া যাবে না। পরে শিক্ষা অফিস কর্তৃক জানতে পেরে পরবর্তিতে কারো কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়নি। যাদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে তাদের টাকাগুলো বেতন বা প্রশংসাপত্রের মাধ্যমে সমন্বয় করে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী উপবৃত্তি তালিকা করনের কমিটি রয়েছে। আমরা কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে উপযুক্তদেরকেই বেছে নিয়েছি। ভর্তি ফি বাবদ আমরা কোন অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছি না।

 

এদিকে, উপরোক্ত অভিযোগসমূহ সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জণসহ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেন সুবিদা বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা।