লক্ষ্মীপুর সদরে কয়েক সেকেন্ডের টর্নেডোর আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে ১০টি বসত ঘরবাড়ি। উপড়ে পড়েছে শতশত গাছপালা। এসময় গাছের নিচে চাপা পড়ে এক গরু মারা গেছে। আহত হয়েছে আরও দুই গরু।
সোমবার (১৫ মে) রাত ১০টা ১২ মিনিটে উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের পিয়ারাপুর গ্রামে হঠাৎ বয়ে যায় (ঘূর্ণিঝড়) টর্নেডো। কয়েক সেকেন্ডে লন্ডভন্ড হয়ে যায় ওই গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর।
মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ১০টার দিকে পিয়ারাপুর গ্রামে খোজ নিয়ে জানা যায়, শামসুদ্দিন পাটোয়ারীর বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি ও উপড়ে পড়ে গেছে গাছ-পালা। গ্রামের লোকমান হোসেনের এক গরুর মারা গেছে, আহত হয়েছে আরও দুইটি। বিধ্বস্ত হয়েছে ৩টি ঘর। এছাড়া মো. মিজানুর রহমান নাছিরের বসত ঘর, মাকছুদুর রহমানের বসত ঘর টিনের চাল উড়ে গেছে। এদিকে, গ্রামের হোসেন, নরুল আমিন, বাবলু, মো. শাহজাহান ও আনসার উদ্দিনের বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত মো. লোকমান হোসেন জানান, এমন বাতাস এর-আগে কখনও দেখিনি। ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ডের বাতাসে আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। ৩টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ১টি গরু মারা গেছে। আহত হয়েছে আরও দুইটি। নষ্ট হয় গেছে অসংখ্য গাছপালা।
পপি নামে এক শিক্ষার্থী জানায়, মনে করলাম ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে আমাদের ক্ষতি হবে কিন্তু আমাদের বিন্দুমাত্র ক্ষতি হয়নি। আর সামান্য বাতাসে আমাদের সবকিছু এলোমেলো করে দিয়েছে।
বাবুল ও তার স্ত্রী রেখা বেগম জানান, আমাদের থাকার ঘরটি রাতে ভেঙে শেষ হয়ে গেছে। ভাঙা ঘরে কোনোরকম আছি সন্তানদের নিয়ে। আমরা খুব অসহায়। টানাপোড়েনের সংসার। একমুঠো খাবার জোগাতে, অনেক কষ্ট হয়। এরমধ্যে তুফান আমাদের চরমভাবে আঘাত দিয়ে গেছে।
সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃমোশাররফ হোসেন জানান, টর্নেডোতে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হয়েছে ।ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করে প্রতিবেদন পাঠাচ্ছি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। সেই অনুযায়ী জেলা প্রশাসক মহোদ্বয় বিষয়টি দেখভাল করবেন।
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেন জানান, তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা করা হবে।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জানান, পিয়ারাপুরে কয়েকটি পরিবার টর্নেডোর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওইসব পরিবারকে আর্থিক সহয়তা করা হবে ।