ঢাকা, সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সংসদের বিশেষ অধিবেশন বসছে আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ৬ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:০৪:০০ পূর্বাহ্ন | রাজনীতি

জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বিশেষ অধিবেশন বসছে আজ। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এ বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করেছেন।

আজ বেলা ১১টায় স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অধিবেশন বসবে। বিশেষ অধিবেশনটি হবে চলতি একাদশ সংসদের ২২তম এবং চলতি বছরের দ্বিতীয় অধিবেশন। 

এর আগে গত ৫ জানুয়ারি চলতি বছরের প্রথম তথা ২১তম অধিবেশন শুরু হয়ে শেষ হয় ৯ ফেব্রুয়ারি। ওই অধিবেশনে মোট কার্যদিবস ছিল ২৬টি। যেখানে ১৯টি বিল উত্থাপিত হয়। এর মধ্যে বিল পাস হয় ১০টি। এছাড়া একটি অধ্যাদেশও উত্থাপিত হয়।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ৭ এপ্রিল বিশেষ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের এটিই হয়তো সংসদে শেষ ভাষণ হতে যাচ্ছে। আগামী ২৩ এপ্রিল তার দুই টার্মের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে।

রাষ্ট্রপতির ভাষণের পরদিন শনিবার সকালে শুরু হবে সংসদের বৈঠক। ওই বৈঠকে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৪৭ বিধিতে সাধারণ প্রস্তাব তুলবেন। এরপর তিনি ওই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করবেন। পরে দুইদিনব্যাপী সাধারণ প্রস্তাবের ওপর সংসদ সদস্যরা বক্তব্য রাখবেন। এরপর তা গ্রহণ করা হবে।

বিশেষ অধিবেশনে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের যাত্রা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ঐতিহাসিক বিভিন্ন অর্জন তুলে ধরা হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণগুলো প্রচার করা হবে। সংসদ সদস্যরা বিশেষ অধিবেশনে সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আলোচনা করবেন।  

আজ অধিবেশন শুরুর দিন স্বাভাবিক কার্যক্রম চললেও দ্বিতীয় দিন শুরু হবে বিশেষ অধিবেশন। এদিন বিকেল ৩টায় বসবে সংসদের বৈঠক। 

করোনাকালের ধারাহিকতায় এবারও এমপিদের কোভিড-১৯ টেস্ট করে সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে হবে। এছাড়া সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যম কর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে করোনার নমুনা পরীক্ষা করতে হবে।  

২০২০ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের সংসদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ওই বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে স্মারক বক্তৃতা দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ওইদিনই জাতির পিতাকে শ্রদ্ধা জানাতে সংসদে একটি প্রস্তাব এনেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই প্রস্তাব নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতাসহ সরকারি ও বিরোধী দলীয় ৭৯ সংসদ সদস্য ১৯ ঘণ্টা ৩ মিনিট আলোচনা করেন। পরে তা সর্বসন্মতক্রমে গ্রহণ করা হয়।
 
যা থাকছে প্রথম দিনের কার্যসূচিতে
শুরুতেই সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়নের পর শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে। এরপর মন্ত্রীদের প্রশ্নোত্তর। প্রথমদিনে সড়ক পরিবহন ও মহসড়ক বিভাগ, সেতু বিভাগ, রেলপথ, মহিলা ও শিশু এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হবে। তবে, প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন হতে পারে বলে জানা গেছে। 

এদিক সংসদের কাজে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোহাম্মেল হক দুর্নীতি দমন কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২ উপস্থাপন করবেন। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী উপস্থাপন করবেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন এবং বিদ্যুত, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন। 

প্রথমদিন সংসদে ৭টি বিল তোলা হবে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো মাহবুব আলী বাংলাদেশ বিমান  (রহিত বাংলাদেশ বিমান অর্ডার ১৯৭২ পুনর্বহাল এবং সংশোধন বিল) ২০২৩, সংসদ কাজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোহাম্মেল হক বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (সংশোধন) বিল ২০২৩, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম চিড়িয়াখানা বিল ২০২৩, স্থানীয় সরকার ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য শেখ হাসিনা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, জামালপুর বিল ২০২৩ এবং শেখ রাসেল পল্লী উন্নয়ন একাডেমি রংপুর বিল ২০২৩, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল ২০২৩ এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ঔষধ কসমেটিকস্ বিল ২০২৩ উপস্থাপন করবেন।