ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরাইলে বিদেশ পাঠানোর টাকার দ্বন্ধে দু'পক্ষের সংঘর্ষে ৩০ জন আহত সাতজন আটক

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : | প্রকাশের সময় : বুধবার ১০ অগাস্ট ২০২২ ০৫:৪৩:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

একই গোষ্ঠির যুবককে বিদেশে নিতে টাকা নেয় আল আমিন। দীর্ঘদিনেও বিদেশে নিতে না পারায় আল আমিনের পিতার কাছে বোরহান মিয়ার টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মহিলা ও শিশুসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে সাতজনকে পুলিশ আটক করেছে। আহতদের সরাইল উপজেলা হাসপাতাল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে দেয়া হয়েছে চিকিৎসা। পরবর্তী সংঘাত এড়াতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের জয়ধরকান্দি গ্রামে খলিল মেম্বার এবং হক মিয়ার লোকদের মধ্যে ঘটে এই সংঘর্ষের ঘটনা। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ১৯ জন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। পুলিশ আটক করেছে সাতজনকে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জয়ধরকান্দি গ্রামের প্রবাসী আল আমিন একই গোষ্ঠীর বোরহান মিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য তার কাছ থেকে টাকা নেন। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও বিদেশ না নেয়ায় বোরহান মিয়া বুধবার সকালে আল আমিনের বাবার কাছে তার টাকা ফেরত চান। এই নিয়ে তাদের দু'জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে আল আমিন ও বোরহানের পক্ষ নিয়ে খলিল মেম্বার ও হক মিয়ার পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে সরাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ঘটনার সাথে জড়িতের দায়ে পুলিশ আটক করে সাতজনকে। এদিক সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মহিলা ও শিশুসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে হক মিয়া (৩৯), ফুল মিয়া (৩০), জমিলা বেগম (৩০), মিন্টু মিয়া (২৬), জুরু মিয়া (২৬), দুলাল মিয়া (৩০), জামেলা খাতুন (৫০), মাইনুল ইসলাম (২০), আলমগীর হোসেন (২০), জজ মিয়া (৫০), আঙ্গুর মিয়া (২০), সোহরাব হোসেন (৫৫), সিয়াম মিয়া (৮), রিমা আক্তার (২৫), মনির হোসেন (৩২), রাজিউর রহমান (৫৫), সূচনা আক্তার (৩৯), আবুল সালাম (৪৫) ও জুয়েল মিয়াকে (৪০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহত অন্যন্যরা সরাইল উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজমান থাকায় পরবর্তী সংঘাত এড়াতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করে রাখা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

সরাইল থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতজনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।'