সিলেট নগরীর সুবিদবাজার এলাকার নুরানী আবাসিক এলাকায় আস্তানা গড়ে তুলেছেন মণিপুরি এক কবিরাজ। দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হচ্ছে ওই আস্তানা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনেক নারী পুরুষকে এই আস্তানায় যেতে দেখা যায়। বিশেষ করে এই রোগীদেরে মধ্যে নারীদের আধিপত্য বেশি। নানান রোগে আক্রান্ত এই নারী রোগীরা।
নারী রোগীদের ধরণ হচ্ছে জামাইয়ের সংসারে সকলকে বশ করা। শশ্বর শ্বাশুরীকে বশে রাখা। স্বপ্নে নানান ধরণের স্বপ্ন দেখেন। কিছু তরুণীর রোগের মধ্যে রয়েছে মনের মানুষকে বাধ্য করা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে কেউ কেউ আসেন যাদু টোনার প্রভাবে পড়েছে-এই ধারণা নিয়ে। বিদেশ যেতে বাধা দূর করতে অনেকে আসেন এই কন্নি বাবার দরবারে। মনের আশা পূরণে অনেকে আসেন একাধিকবার। তবে কন্নি বাবার কবিরাজীতে সফল হয়েছেন - এমন রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
কয়েকজন রোগীর সাথে কথা বলে জানা গেছে এই আস্তানায় দুপুর ১২ টা থেকে রোগী দেখা শুরু হয়। মণিপুরি একটি চাদর পরিধান করে কন্নি বাবা তার কবিরাজী শুরু করেন। সিরিয়ালে থাকা রোগীদের সমস্যা জেনে তদবির শুরু করেন। অবস্থা বুঝে তদবিরের জন্যে টাকা নিয়ে থাকেন কন্নি বাবা। একজন রোগী জানান এখানে যারাই আসেন তাদের অধিকাংশ যাদু টোনা (কন্নি) তে আক্রান্ত। কন্নি বাবা অধকাংশ রোগিকে বলে থাকেন কন্নি (যাদু টোনা) করা হয়েছে। এই জন্যে এই কবিরাজকে বলা হয় কন্নি বাবা। কন্নি থেকে মুক্ত করতে দেয়া হয় নানান ধরণের তদবির।
এছাড়া অনেককে বলা হয় জ্বীন ভ‚তের আছর করেছে। এই জ্বীন-ভ‚ত মুক্ত করতেও নানান ধরণের তদবির দেয়া হয়। বিনিময়ে কন্নি বাবাকে দেয়া হয় নির্ধারিত টাকা। অবাধ্যকে বাধ্য করতে নেয়া হয় মোটা অংকের অর্থে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এই আস্তানায় প্রায় সব ধরণের তদবির করা হয়। এই তদবির পেতে হলে ফাঁকা হয়ে যায় পকেট। ফলাফল হয় শূন্য। দীর্ঘদিন ধরে এই কন্নি বাবা তার আস্তানা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।