১৬ জুলাই যখন শেখ হাসিনার পুলিশ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের মেধাবী ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করে তখন থেকেই জুলাই অভ্যুত্থান আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ১৮ তারিখে মুগ্ধকে হত্যা করার পর পৃথিবীর সকল প্রধান গণমাধ্যমে উঠে আসে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সংবাদ। আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ঘটনা ঠিক সময়ের কালের প্রস্তরখণ্ডে খোদিত হয় না বলেই তা হারিয়ে যায় অথবা ভুল বা বিকৃতভাবে রচিত হয়। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের এই মহিমান্বিত বিজয় ও আন্দোলনের সংবাদসমূহ, যা প্রতিফলিত হয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সেগুলো একত্রিত করে গ্রন্থবদ্ধ করার দায়িত্ব নিয়েছে নিউ ইয়র্কস্থ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ঊনবাঙাল। গ্রন্থটিতে অন্তর্ভুক্ত সংবাদ নির্বাচন ও সম্পাদনা করেন এই সময়ের আলোচিত কবি ও পাবলিক ইন্টেলেকচুয়াল কাজী জহিরুল ইসলাম এবং ঊনবাঙালের সভাপতি মুক্তি জহির।
সম্পাদকদ্বয় ৩৬ দিনের একটি ধারাবাহিক বর্ণনা তুলে ধরেন গ্রন্থের শুরুতেই। এ-ছাড়া অধ্যাপক ড. মোস্তফা সরোয়ার, অনুবাদক প্রাবন্ধিক লিয়াকত খান ও রাজপথের সরব আন্দোলনকারী সানজিদা আনোয়ার চৌধুরীও গ্রন্থটিতে ভূমিকা-প্রবন্ধ লিখেছেন, যা এই গ্রন্থকে এক ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। সম্পাদকেরা সচেতনভাবেই বিতর্ক এড়াতে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত কোনো সংবাদ এই গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত করেননি। বইটি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী প্রকাশনা সংস্থা স্টুডেন্ট ওয়েজের পক্ষে মাশফিক তন্ময়। দু'শো পৃষ্ঠার বইটি এখন রকমারি ডট কমসহ বাংলাদেশের সব বড়ো বইয়ের দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে।
২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের ওপর যারা এখন এবং ভবিষ্যতে গবেষণা করবেন তাদের জন্য এই গ্রন্থ একটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবে সহায়তা করবে।