ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরু হচ্ছে আগামী সপ্তাহে

Author Dainik Bayanno | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ ১১:৪০:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

 

এর আগে এমন সংলাপের মাধ্যমে সার্চ কমিটি গঠন করে কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

 

এ কমিশনের মেয়াদ আগামী ফেব্রুয়ারিতে শেষ হবে। তাই নতুন ইসি নিয়োগে সংলাপের প্রস্তুতি নিচ্ছে বঙ্গভবন।

 

আগামী সোমবার (২০ ডিসেম্বর) এ সংলাপ শুরু হবে বলে মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে।

 

ওই সূত্র বলেছে, সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে সংলাপ শুরু করবেন রাষ্ট্রপতি।

তবে এ ব্যাপারে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।  

 

বঙ্গভবনের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করবেন রাষ্ট্রপতি।

 

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির এ আলোচনাকে বঙ্গভবনের ভাষায় বলা হয়, নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা।

 

গণমাধ্যমে এ আলোচনাকে সংলাপ বলা হচ্ছে। সংলাপ শেষে সার্চ কমিটি গঠন করার পর সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপন দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ওই কমিটির কাজের সাচিবিক দায়িত্বও থাকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের হাতে।

 

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির হাতে। তবে সুনির্দিষ্ট আইনের মাধ্যমে তা গঠনের কথা থাকলেও সেই আইনটি এখনও প্রণীত হয়নি।

 

মো. জিল্লুর রহমান নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে ইসি নিয়োগ দেওয়ার পর আবদুল হামিদও সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আসছেন।

 

এরই মধ্যে বিএনপি রাষ্ট্রপতির এ সংলাপ বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপি বলছে, এ সংলাপ ‘লোক দেখানো’।

 

আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল এখন প্রায় ৩৬টির বেশি। বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠনে ২০১৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর বিএনপির সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে সংলাপ শুরু করেছিলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। একমাস ধরে ৩১টি দলের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি।

 

নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন ইসির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই নতুন ইসি নিয়োগ দিতে হবে রাষ্ট্রপতিকে।

 

সাংবিধানিক সংস্থা ইসির সদস্যদের নিয়োগে এখনো আইন না হওয়ায় প্রতিবারই ইসি গঠন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে মতভেদ তৈরি হয়। জটিলতা এড়াতে গত দুবার সার্চ কমিটির ব্যবস্থা হলেও বিতর্ক থামেনি।

 

গত ২৮ নভেম্বর সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশনে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, চলমান একাদশ জাতীয় সংসদের আগামী দুটি অধিবেশনের মধ্যে তিনি ইসি গঠন সংক্রান্ত আইন সংসদে তুলতে পারবেন।

 

তিনি আরো জানান, রাষ্ট্রপতি এবারের ইসিও সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে করবেন।