হরিনাকুন্ডুতে নারী কেলেঙ্কারি, চাঁদাবাজী, বিভিন্ন ব্যাবস্য প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়সহ নানা অপকর্মের কারণে সম্প্রতি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন সাংবাদিক নামধারী সাইফুজ্জামান তাজু।
স্থানীয়রা জানান, বেশকিছু আগে উপজেলার শিংগা গ্রামের এক স্কুল শিক্ষিকার সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সাংবাদিক তাজু। আপত্তিকর অবস্হায় ঐ নারীর সাথে ধরাও পড়েন তিনি। সেটি জানাজানি হওয়ায় কিছুদিন তিনি গা ঢাকা দেন। এছাড়াও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। উপজেলা মোড়ের মুসান হাসান নামের দোকানিসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানিয়েছেন, তাদের বিভিন্নভাবে জিম্মি করে টাকা দাবি করতেন সাংবাদিক তাজু। তিনি উপজেলার বিভিন্ন দোকান থেকে নিয়মিত চাদা আদায় করতেন বলেও জানিয়েছে একাধিক ব্যবসায়ী। কেউ পাওনা টাকা চাইলে ভ্রাম্যমান আদালতের ভয় দেখাতেন তাজু। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয় দেখিয়ে তিনি চাদাও আদায় করেন বলে জানা যায়।
এছাড়াও
হরিনাকুন্ডু উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক হওয়ায় তাজু ক্রীড়া সংস্হার মাঠে মাইক্রোবাস পার্কিং বাবদ মাসে ১০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেন। স্থানীয় দোকানদারদের নিকট থেকে নিয়মিত চাঁদাবাজির কারণে দোকান মালিক সমিতি হরিণাকুণ্ডু প্রেসক্লাব বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন । এ অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাকে হরিণাকুণ্ডু প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কারও করা হয়। প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কার হওয়ার খবর শোনার পরপরই দোকানদার ও পাওনাদারেরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেছেন। এ সকল অপকর্মের কারণে সম্প্রতি তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। প্রেসক্লাবের সভাপতি থাকাকালীন তিনি প্রেসক্লাবের ফান্ডের প্রায় লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেন। সম্প্রতি দেশের আরো একটি প্রথম সারির জাতীয় দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার বিঙ্গপনের টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্তসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ এসেছে। সাংবাদিকতা একটি মহান পেসা। এ পেসার নামভাঙ্গিয়ে
সকল অপকর্মের অভিযোগ পেয়ে হরিণাকুণ্ডু প্রেসক্লাব জরুরি মিটিং করে তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগের সত্যতা যাচাই বাছাই করে সঠিক তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নিজে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, থানা ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিতভাবে জানিয়েছেন প্রেসক্লাব।
দেশের প্রথম সারির জাতীয় দৈনিক সমকাল পত্রিকার নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হওয়ায় পত্রিকার সুনাম ক্ষুন্ন হওয়াসহ সাংবাদিকদের সুনাম তিনি ক্ষুন্ন করছেন বলে আক্ষেপ করেন একাধিক সাংবাদিক।
নানা অপকর্মের কারণে লোকজনের সামনে না এসে পালিয়ে বেড়ালেও সম্প্রতি তিনি জেলা প্রশাসককে নিজের নিরাপত্তা হীনতায় ভোগার কথা বলে অভিযোগ জানিয়েছেন বলে জানা যায়। তবে স্হানীয়রা বলছেন, তিনি তার ব্যাক্তিগত অপকর্মের ফল পাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে এম.সাইফুজ্জামান তাজুকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেনি।