ঢাকা: সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ দেশে সরকারের একটা স্থায়িত্বের সুযোগ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংসদের কোনো কোনো সদস্যের এই অনুচ্ছেদের ওপর রাগ, কারণ তারা সরকার ভাঙতে-গড়তে পারছেন না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সোমবার (১০ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে আনা প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
সংসদে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনীর দাবি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে অনেকেরেই আপত্তি। যারা এই আপত্তির কথা তুলছেন তাদের বোধ হয় অভিজ্ঞতার অভাব আছে। এই ৭০ অনুচ্ছেদটাই কিন্তু আমাদের দেশে সরকারের একটা স্থায়িত্বের সুযোগ এনে দিয়েছে। যার ফলে দেশটা উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ফ্লোর ক্রস করার কারণে ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট সরকার টিকতে পারেনি। এর আগে ১৯৪৬ সালেও একই খেলা হয়েছিল, যার কারণে আমাদের পূর্ব বাংলাটা যেভাবে গঠন হওয়ার কথা সেভাবে হয়নি। এটা ১৯৫৬ সালের নির্বাচনেও হয়েছিল। পরে মার্শাল ল’ এসে ক্ষমতা দখল করে। কাজেই এই ৭০ অনুচ্ছেদটাই একটি সুরক্ষা দেয় গণতন্ত্রকে সমুন্নত করতে সংহত করতে। আর এর সুফল জনগণ পেতে পারে। জানি না কেন কিছু কিছু সদস্যের এর ওপর এত রাগ? কারণ হচ্ছে সরকার ভাঙতে -গড়তে বা খেলাটা খেলতে তারা সক্ষম হচ্ছেন না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।
বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা বলছে। ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে তো কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। যে বিরোধী দলকে বড় বিরোধী দল বলা হয়, তারা ২০০৮ সালে ২৯টি সিট পেয়েছিল। তারা যদি এত বড়ই বিরোধী দল হয়ে থাকে তাহলে ২৯টি সিট পেল কেন? তারা এতবড় দল কোত্থেকে হয়ে গেল। আর সাজাপ্রাপ্ত আসামি হচ্ছে সেই দলের চেয়ারপার্সন। হত্যা, গুম, খুন, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ সবকিছুতেই যারা পারদর্শী ছিল, তাদের জন্য দেশের মানুষ আতঙ্কে থাকতো। এখন তাদের নিয়ে এত উৎফুল্ল—এটাই হচ্ছে দুর্ভাগ্য!